সংস্কারের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে আগে নির্বাচন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শ্যামপুরের কদমতলী বালুর মাঠে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে যাদেরকে জনগণ দায়িত্ব দেবে সংস্কারের কাজ তারাই শুরু করতে পারবে, তাদেরকেই শুরু করতে হবে। সংস্কারকে যত দ্রুত বাস্তবায়ন করা যাবে দেশকে ও দেশের মানুষকে তত দ্রুত আমরা বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব।
তিনি বলেন, কোনো কোনো ব্যক্তি বলেন নির্বাচন হলেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? আমি বলি, সঙ্গে সঙ্গে সব সমস্যার সমাধান হবে না। কিন্তু নির্বাচিত সরকার আসলে সমস্যার জট ও গিট্টুগুলো আস্তে আস্তে খোলা যাবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সংস্কার প্রস্তাবের আলাপ-আলোচনা যতবেশি দীর্ঘায়িত হবে দেশ ততই সংকটে পড়বে। নির্বাচন প্রক্রিয়া যদি দেরি হয়, সংস্কারের আলোচনা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলে স্বৈরাচার সুযোগ পেয়ে আবারও দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসবে। ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাবে।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারের সামনে একমাত্র বিএনপিই সংস্কারের কথা বলেছিল। আড়াই বছর আগেই এই ৩১ দফা দেওয়া হয়েছিল। ৩১ দফার সঙ্গে সরকারের সংস্কার প্রস্তাবনায় খুব বেশি ফারাক নেই।
১০ টাকা কেজি চাল দেওয়ার মতো মিথ্যা আশ্বাস না দিয়ে বাস্তবতার আলোকে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে চাই বলেনও জানান তিনি। আরটিভি