News update
  • Bangladesh earthquake death toll rises to 10; scores injured     |     
  • CA for Armed Forces' efficient role to ensure smooth, festive polls     |     
  • Tarique Rahman calls for urgent disaster preparedness after quake     |     
  • UN Unveils UN80 Action Plan to Drive System-Wide Reforms     |     
  • Guterres Urges G20 to Show Leadership and Vision in SA     |     

জয় বাংলা ক্লাবের সভাপতি এখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক

রাজনীতি 2025-02-24, 1:14pm

rakib-musulli-president-of-job-bangla-club-mohipur-tahan-unit-now-joint-convener-of-anti-discrimination-students-movement-savar-upazila-unit-40d1f7d62fcb3c0c3fd697ec5e6315721740381287.jpg

Rakib Musulli, president of Job Bangla Club, Mohipur Thana unit now joint convener of Anti-Discrimination Students Movement, Savar Upazila Unit.



পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানা শাখার ‘জয় বাংলা ক্লাব’-এর সভাপতি রাকিব মুসুল্লি দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি ও বাস কাউন্টার দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে গা ঢাকা দেয়ার পর এখন বনে গেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাভার উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক।

৫ আগষ্টের পূর্ববর্তী সময়ে রাকিব মুসুল্লি ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় ‘ফেয়ার মাইন্ড সমাজসেবা সংগঠন’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন, যা মূলত চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত হতো। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে জোরপূর্বক এই সংগঠনের নামে অর্থ দিতে বাধ্য করা হতো। টাকা দিতে অস্বীকার করলেই বিভিন্নভাবে তাদের হয়রানির শিকার হতে হতো।

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মীর মতো তিনিও এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। ৫ তারিখের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং পরে ঢাকার সাভারে আশ্রয় নেন।

সাভারে গিয়ে রাকিব মুসুল্লি ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে সংগঠনটির সাভার উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে জায়গা করে নেন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা প্রশ্ন তুলছেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত একজন ব্যক্তি কীভাবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব পেতে পারেন? এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এটিকে সংগঠনের বড় ধরনের ব্যর্থতা এবং আদর্শবিরোধী বলে উল্লেখ করছেন।

এ বিষয়ে রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়ক ও সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বৃহত্তর উত্তরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবু সালেহ অমি বলেন, "জুলাই আন্দোলনে আমরা ছাত্র জনতা জীবন দিয়ে এ দেশটাকে ফ্যাসিস্ট মুক্ত করেছি। সেখানে একজন দোসর কীভাবে একটা উপজেলার দায়িত্ব পায়? আমরা কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের ৩৬ ঘণ্টার সময় দিয়েছি—এর মধ্যে তাকে কমিটি থেকে অপসারণ করে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।"

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমরা খোঁজ নিচ্ছি। যদি প্রমাণিত হয় যে তিনি ফ্যাসিস্টের দোসর, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

এদিকে সাভার উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্বশীলরা এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। - গোফরান পলাশ