
অবশেষে খুলনা-১ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিল জামায়াত ইসলামী। দীর্ঘদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তি কৃষ্ণ নন্দীকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা মহানগর জামায়াত কার্যালয়ে জেলার কর্মী সমাবেশে তাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি জেনারেল ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। নিজের প্রার্থিতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কৃষ্ণ নন্দীও।
জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাসে এবারই প্রথম অন্য ধর্মের কোনো ব্যক্তিকে প্রার্থী ঘোষণা করা হলো, যা স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত এক মাস ধরে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কৃষ্ণ নন্দীর নাম রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। খুলনার দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-১ আসনে তাকে প্রার্থী করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী কৃষ্ণ নন্দীর গ্রামের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর এলাকায়। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু সংগঠন ‘জামায়াত ইসলাম সনাতনী’ শাখার সভাপতি। এ উপজেলা ও ফুলতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের প্রার্থী দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। গত প্রায় এক বছর ধরে গোলাম পরওয়ারের ডুমুরিয়া ও ফুলতলায় বিভিন্ন সমাবেশে কৃষ্ণ নন্দীর সক্রিয় উপস্থিতি দেখা গেছে। তার নেতৃত্বে হিন্দু নারী-পুরুষের অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মতো।
এর আগে খুলনা-১ আসনে মো. ইউসুফকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল জামায়াত।
কৃষ্ণ নন্দী জানান, গত ১ ডিসেম্বর জামায়াত ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান খুলনায় এলে তিনি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে তাকে ও আগের প্রার্থী মাওলানা ইউসুফকে নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
‘সেখানে আমাকে প্রার্থী হিসেবে কাজ করতে বলা হয়। মাওলানা ইউসুফও আমার সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সম্মতি জানান,’ বলেন তিনি।
খুলনা জেলা জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুন্সী মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘খুলনা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তন হয়েছে। বাবু কৃষ্ণ নন্দীকে প্রার্থী করা হয়েছে। দলের সিদ্ধান্তে সবাই ঐকমত্যে দাড়িপাল্লার হয়ে কাজ করবেন।’