বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাসের দ্রুত পরিবর্তনশীল রূপের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন টিকার উন্নয়নে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
যেহেতু বিশ্বের মনোযোগ মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাবের ওপর নিবদ্ধ রয়েছে, ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস সতর্ক করেছেন যে, কোভিড-১৯ মহামারী সমাপ্ত হয়নি। তিনি বলেছেন, এই মারাত্মক রোগটি প্রতিরোধ করার জন্য নতুন প্রতিষেধক তৈরি করতে হবে। একইসাথে করোনা প্রতিরোধে কার্যকর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাগুলো বজায় রাখতে হবে এবং শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেছেন, জীবন বাঁচানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো প্রথমে সঠিক দলগুলোকে টিকা দেয়া। এর দ্বারা তিনি স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স্ক ব্যক্তি এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলো যাদের শারীরিক নানা রোগের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে এমন ব্যক্তিদের বুঝিয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ৫ সপ্তাহ ধরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ এবং মৃত্যু বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫৬ কোটি ৬০ লাখ, যার মধ্যে ৬৩ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
টেড্রোস আরও বলেছেন, এমন টিকা তৈরি করা উচিত যা আরও সহজে বিতরণ করা যেতে পারে, যেমন নাকে দেয়ার স্প্রে বা ড্রপের মাধ্যমে দেয়ার টিকা।
জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থার জন্য ডব্লিউএইচও-র নির্বাহী পরিচালক মাইক রায়ান বলেছেন, মহামারী প্রস্তুতিতে আরও মনোযোগ দিতে হবে। তিনি বলেছেন, কোভিড-১৯, মাঙ্কিপক্স, মারবার্গ এবং পোলিওর মতো রোগের ঝুঁকি ত্বরান্বিত হচ্ছে কারণ দেশগুলোর এই রোগগুলো মোকাবিলায় সক্রিয় হওয়ার পরিবর্তে প্রতিক্রিয়াশীল হওয়ার প্রবণতা রয়েছে।
ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস তার সাথে একমত পোষণ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, যেহেতু নতুন টিকা এবং অন্যান্য কোভিড-১৯ সরঞ্জামগুলো তৈরি করা হয়েছে, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে সেগুলো যেন সব দেশে সমানভাবে পাওয়া যায়। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।