News update
  • Shibir’s Silent Resilience Yields Historic Ducsu Victory     |     
  • Nepal army deployed as protesters want ex-CJ as interim leader     |     
  • RMG workers block Dhaka-Mymensingh highway for Aug salary     |     
  • Netanyahu, we're not leaving Gaza City: Palestinians     |     
  • JUCSU voting in progress in a festive mood     |     

ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি ক্যাবের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2025-01-12, 2:08pm

erewrewr-f03c2e0b7c1ece7d6ab1a56120460b881736669318.jpg




মূল্যস্ফীতি ও মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

রোববার (১২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ক্যাব।

এতে বলা হয়, বৈশ্বিক ও দেশীয় নানা পট পরিবর্তনের কারণে ২০২৪ সাল পুরো বছরজুড়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি উর্ধ্বমুখী ছিল। সবশেষ ডিসেম্বরে ১৩ শতাংশের কাছাকাছি এবং তার আগের মাসে ছিল ১৪ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। ক্রমাগত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্য ও সেবার দাম বাড়ছে। ফলে নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারও ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির চাপে জীবন জীবিকা নির্বাহে প্রায় দিশাহারা।

এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ চলমান থাকলেও তার সুফল জনগণ পাচ্ছে না। সরকার ইতোপূর্বে ২৯টি পণ্যের ভ্যাট ও আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করলেও ভোক্তা পর্যায়ে তার কোন প্রতিফলন আসেনি। এই শুল্ক প্রত্যাহারের পুরো সুবিধাটুকু বড় বড় করপোরেট গ্রুপ ও আমদানিকারকরা হাতিয়ে নেন। সেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সরকারের অন্য কোন দফতর খবরও রাখেনি।

মূল্যস্ফীতি ক্রমাগতভাবে ঊর্ধ্বমুখী থাকায় মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। প্রতি মাসে মানুষের ধার দেনা ও খাবারের তালিকা কাটছাঁট করে কোনো রকমে সংসার চালাতে হচ্ছে। যেহেতু আয় বা বেতন তো বাড়েনি, সে কারণে পরিবারের পুষ্টিসহ অনেক প্রয়োজন কাটছাঁট করতে পারলেও পরিবারের চিকিৎসা খরচ উপক্ষো করা যাচ্ছে না। আবার জীবন রক্ষাকারী ওষুধ কিনতে প্রতি মাসেই বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। ওষুধের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

এদিকে, আগামী মার্চে পবিত্র মাহে রমজান মাস। রমজান উপলক্ষে এখন থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বিশেষ করে তেল, ডাল, চিনি, ছোলা, মাছ, মাংস, মসলা অনেক পণ্যেরই দাম বাড়ানো ও মজুত করা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। শীতের ভরা মৌসুমে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কম থাকলেও ক্রমাগতভাবেই বাড়ছে চালের দাম। প্রকারভেদে চাল কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে মুঠোফোন-ইন্টারনেট, ওষুধ, এলপি গ্যাস, মিষ্টি, বিস্কুট, আচার, টমেটো সস, ফলের রস, সব ধরনের তাজা ফল, সাবান ও ডিটারজেন্ট, কিচেন টাওয়েল, টয়লেট টিস্যু, মোবাইল সেবা ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, ম্যাট্রেস, ফেরো ম্যাঙ্গানিজ (রড তৈরির কাঁচামাল), বার্নিশসহ শতাধিক পণ্য ও সেবার ভ্যাট-সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সীমিত ও প্রান্তিক আয়ের মানুষের এমনিতেই নিত্যপণ্যের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধি নিয়ে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি, সেখানে এই ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা আরেক দফা তাদের পণ্য ও সেবার মূল্য বাড়িয়ে নতুন করে আবারো অস্থিরতা তৈরি করবে।

এভাবে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হলে রমজান মাসে প্রান্তিক ও সীমিত আয়ের মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠবে। এমনকি রোজাদাররা সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে ফল রাখতে পারবে না। এছাড়া ওষুধের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ফলে আরেক দফা দাম বাড়বে। যা নতুন বছরে সাধারন মানুষের জন্য ‘মরার ওপর খারার ঘাঁ।’

এ পরিস্থিতিতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য বিদ্যমান ভ্যাট নেটের আওতা বাড়ানো, সহজীকরণ করা, কর ফাঁকি বন্ধ করা, এনবিআরের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট-দুর্ভোগ বিবেচনা করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে পরোক্ষ কর বৃদ্ধি করে নিম্ন আয়ের মানুষের দারিদ্যসীমার নিচে নেমে যাওয়া রোধে প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া দরকার।

তাই কর প্রশাসনে সংস্কার ও কর ফাঁকির বিষয়টি বন্ধ করার পাশাপাশি এই অধ্যাদেশ বাতিল অথবা আগামী রমজান পর্যন্ত এই অধ্যাদেশ কার্যকর না করার দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটির নেতারা।

এতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের প্রেসিডেন্ট জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রেসিডিন্ট আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।