পেন্টাগনের গোয়েন্দা প্রধান বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিপর্যয় এবং বাড়তি সম্পদের ব্যবহারে দেখা যায় যে, দেশটিতে আক্রমণ করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী তার প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জনে অক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, পশ্চিমের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ ইউক্রেনের সরকারকে সরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে পুতিন ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেনে সৈন্য প্রেরণ করেন। যুদ্ধের শুরুতে ইউক্রেনের বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানীর চারপাশে অবস্থান নেয়া রুশ যোদ্ধাদের তাড়িয়ে দেয়। গত সপ্তাহে রাশিয়া আরেকটি বড় ধাক্কা খায় যখন ইউক্রেনের এক পাল্টা আক্রমণে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বের বিশাল অংশ থেকে রাশিয়ার সৈন্যরা ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটো-সমর্থিত ইউক্রেনীয় বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে পুতিনকে পরাজিত করলে পুতিন গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে কিনা- এমন উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সিআইএ-এর উপ-পরিচালক ডেভিড কোয়েন বলেন, “আমি মনে করি না যে, পুতিনের মূল লক্ষ্য অর্থাৎ ইউক্রেনকে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারটিকে আমাদের অবমূল্যায়ন করা উচিত। আমি মনে করি না যে, তিনি তার লক্ষ্য থেকে সরে গেছেন- এমনটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ রয়েছে।”
অন্যদিকে শুক্রবার উজবেকিস্তানে প্রধান একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন ইউক্রেনের ওপর হামলা চালানোর প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি সতর্ক করেন যে, ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ায় স্থাপনাগুলোকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করলে, মস্কো ইউক্রেনের অবকাঠামোতে হামলা চালাতে পারে।
ওই সম্মেলনে চীন, ভারত, তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশের নেতারা অংশ নেন।
পুতিন বলেন যে, ইউক্রেনের পুরো পূর্ব ডনবাস অঞ্চলের “মুক্তি” ছিল রাশিয়ার প্রধান সামরিক লক্ষ্য এবং তিনি এটি সংশোধন করার প্রয়োজন দেখেননি। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।