সামাজিক মাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে দেখা যায় যে, ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে বিক্ষোভকারীরা ইসলামী প্রজাতন্ত্রটির প্রতিষ্ঠাতা আয়াতোল্লাহ রুহোল্লাহ খোমেনির পৈতৃক নিবাসে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দিনের শেষদিকে খোমেন শহরের ঐ বাড়িটিতে আগুন ধরে গিয়েছে এবং বিক্ষোভকারীরা সেটির পাশ দিয়ে মিছিল ও উল্লাস করছেন। পশ্চিমাঞ্চলের মারকাজি প্রদেশের ঐ শহরটিতে প্রয়াত আয়াতোল্লাহ জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
রাষ্ট্রপরিচালিত আধা-সরকারি তাসনিম সংবাদ সংস্থা প্রতিবেদনগুলো প্রত্যাখ্যান করে বলে যে, যাদুঘরে রূপান্তরিত করা ঐ বাসাটি এখনও খোলা রয়েছে। সংবাদ সংস্থাটি ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কোরের সাথে সম্পর্কিত।
সাংবাদিক ও লেখক ডেভিড প্যাট্রিকারাকোস তার টুইটার অ্যাকাউন্টে ঘটনাস্থলের কিছু ছবি রিটুইট করেন এবং লেখেন যে, আগুনটি “স্বয়ং প্রজাতন্ত্রটির সত্তাকে” চ্যালেঞ্জ করা একটি “হামলার” প্রতিনিধিত্ব করে। প্যাট্রিকারাকোস ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিষয়ে একটি বই লিখেছেন।
ঐ বাসস্থানেই আয়াতোল্লাহ রুহোল্লাহ খোমেনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার নামের শেষাংশটি খোমেন শহরের নামানুসারে রাখা হয়। ১৯৭০ এর দশকে তিনি প্যারিসে নির্বাসনে বসবাস করতেন। সেখানে থাকাকালীন তিনি একজন ধর্মগুরু হিসেবে ইরানের তৎকালীন নেতার এক কঠোর সমালোচক ছিলেন। ইরানে সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত শাহ মোহাম্মাদ রেজা পাহলাভি ক্ষমতাসীন ছিলেন।
ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে খোমেনি ১৯৭৯ সালে ইরানে ফেরত আসেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় দেশটিতে চলমান বিক্ষোভ আরম্ভ হয়। তার কয়দিন আগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ হিজাব দিয়ে নিজের চুল পুরোপুরি ঢেকে না রাখার অভিযোগে আমিনিকে গ্রেফতার করেছিল। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।