ইউক্রেন-নিয়ন্ত্রিত খেরসনের কেন্দ্রীয় চত্ত্বরে ত্রাণ বিতরণ এবং ভবিষ্যত সম্পর্কে অনিশ্চয়তা নিয়েই দেশপ্রেমের উদযাপনে ব্যস্ত ছিলেন ইউক্রেনীয়রা।
গত সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনের ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে একটি স্থান থেকে তাদের সৈন্যদের পিছিয়ে নেয়। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারির আক্রমণের পর থেকে রাশিয়ার দখল করা একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী খেরসনও ছিল।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রুশরা চলে যাওয়ার আগে শহরের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করে গেছে। কোনো পানি, বিদ্যুৎ বা কেন্দ্রীয় তাপ সরবরাহ ব্যবস্থা চালু অবস্থায় নেই।
শত শত মানুষ ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন কিন্তু তারা জানিয়েছে্ন যে, ত্রাণ হিসেবে তারা কী পেতে পারেন সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। কয়েকজন বলেছেন, তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছেন।
আজভ শহরের বন্দর নগরী মারিউপোল মে মাসে রুশ বাহিনীর দখলে যাওয়ার আগে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল।
স্যাঁতস্যাঁতে সেন্ট্রাল স্কয়ারের এক প্রান্তে একজন মানুষ অ্যাকর্ডিয়নে ইউক্রেনের জাতীয় সঙ্গীত বাজাচ্ছিলেন আর দর্শকরা গলা মেলাচ্ছিলেন। অন্য প্রান্তে একজন ব্যক্তি ইউক্রেনের জনপ্রিয় রক গানগুলো বাজাচ্ছিলেন।
শিশু এবং কিশোরেরা নতজানু একজন সৈনিকের চারপাশে ভীড় করেছিল। তিনি তাদের কাঁধে পতাকা রেখে তাতে স্বাক্ষর দিচ্ছিলেন।
সেপ্টেম্বরের একটি গণভোটের পরে মস্কো অবৈধভাবে খেরসনকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত বলে ঘোষণা করে। ইউক্রেন এবং তার মিত্ররা এই গণভোটকে জাল বলে নিন্দা জানায়। ভোটের বিজ্ঞাপনের একটি বিলবোর্ড তখনও সেখানে ছিল, কিন্তু কেউ একজন “রাশিয়া” শব্দটি সেখান থেকে মুছে ফেলেছিল। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।