তেহরান যে মস্কোকে ড্রোন দিয়েছে সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র , ফ্রান্স ও ব্রিটেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লংঘনের জন্য ইরান ও রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ঐ ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনের শহরগুলিতে উপর্যুপরি হামলা চালিয়েছে।
এই তিনটি শক্তিধর রাষ্ট্র বৃহস্পতিবার বলেছে যে তেহরান ও মস্কো জাতিসংঘের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব লংঘন করেছে যেখানে আন্তর্জাতিক আইনের মধ্যে ২০১৫ সালের ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অগ্রিম অণুমোদন ছাড়া ড্রোন ব্যবহার করে তারা ঐ প্রস্তাব লংঘন করেছে।
প্রস্তাব বাস্তবায়ন বিষয়ক অর্ধ –বার্ষিক বৈঠকের সময় তারা ঐ লংঘনের অভিযোগের বিষয়টি দেখার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের দূত রবার্ট ঊড বলেন, “ বিশেষত, জাতিসংঘের সচিবালয়ের উচিৎ হবে, আর কোন বিলম্ব না করে কিয়েভে একদল তদন্তকারি পাঠানো যাতে করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার ব্যবহৃত এই সব অস্ত্রের ধ্বংসাবেশষ পরীক্ষা করা যায়”। তিনি আরো বলেন ইউক্রেনে পাওয়া ইরানি ড্রোন সম্পর্কে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের উচিতৎ হবে তার মূল্যায়ন সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদকে হালনাগাদ করা।
বিশেষজ্ঞদের দল পাঠানোর আহ্বান এখন পর্যন্ত গুয়েতেরেস এই বলে ঠেকিয়ে রেখেছেন যে তাঁর দপ্তর প্রাপ্ত তথ্যগুলো পরীক্ষা করে দেখছে।
রাশিয়ার দূত বলেন যে ২২৩১ প্রস্তাবের অধীনে জাতিসংঘের মহসচিবের কোন বিশেষজ্ঞ পাঠানোর অধিকার নেই। ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন যে জাতিসংঘের উচিৎ হবে , “ অননুমোদিত সফর এবং জোর করে পরিদর্শন” থেকে বিরত থাকা। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে মহাসচিব সম্পূর্ণ অবগত আছেন”।
গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কার্বি বলেন মস্কো শত শত ইরানি ড্রোন পেয়েছে এবং রাশিয়া সেগুলো সম্ভবত আগামি বছরের শুরু থেকে ইরানের সঙ্গে উৎপাদন আরম্ভ করার জন্য কাজ করবে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।