রাশিয়া শনিবার দিনের শুরুতে জানিয়েছে, তারা ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সংযোগ স্থাপনকারী একটি সেতুর ওপর সামুদ্রিক ড্রোন হামলার একটি প্রচেষ্টা ব্যার্থ করে দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, কৃষ্ণ সাগরে ৩টি আংশিকভাবে পানিতে নিমজ্জিত মনুষ্যবিহীন নৌযান ধ্বংস করা হয়েছে। এগুলো পাঠিয়েছিলো “কিয়েভ-এর শাসকগোষ্ঠী এবং উদ্দেশ্য ছিলো ক্রাইমিয়ার সেতুর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো”। একটি ড্রোন শুক্রবার গভীর রাতে ধ্বংস করা হয়। বাকি ২টি ধ্বংস করা হয় শনিবার ভোরে।
রাশিয়া ২০১৪ সালে অবৈধভাবে ক্রাইমিয়া দখল করে; এর পর তাদের মূল ভূখণ্ডের অংশ করে নেয়।পরে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।এর নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৮ সালে। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর থেকেই, এই সেতু নিয়মিত হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। জুলাই-এ এক হামলায়, সেতুটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়; সে সময় নিহত হয় ২ জন।
জুলাই-হামলার দায়ভার নেয় ইউক্রেন।তবে, আরো একটি হামলা প্রতিহত করার বিষয়ে রাশিয়ার সাম্প্রতিক দাবির বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক শুক্রবার তাদের ইউক্রেন সংক্রান্ত দৈনিক হালনাগাদ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলছে, রাশিয়া এখন ক্রাইমিয়া সেতু-সহ কের্চ প্রণালী জুড়ে থাকা সড়ক সংযোগ অক্ষত রাখতে “বেশ কয়েক ধরনের পরোক্ষ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা” অবলম্বন করছে।
মন্ত্রক বলছে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে ধোঁয়া উৎপাদক, নিমজ্জিত জাহাজ দিয়ে জলের নিচে তৈরি করা প্রাচীর এবং তেল ধারণ ও নিঃসরণে সক্ষম ভাসমান অস্থায়ী বাধা। যেগুলো সামুদ্রিক ড্রোন প্রতিহত করতে সক্ষম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, “রসদ সরবরাহ ও রুশ আগ্রাসনের প্রতীক হিসেবে এই সেতু রাশিয়ার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে সেতু রক্ষায় এ ধরনের সর্বাত্মক প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে”। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।