যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রকের ফরেইন অ্যাসেটস কন্ট্রোল কার্যালয়ের গৃহীত নতুন পদক্ষেপের রূপরেখা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়ালি অ্যাডেইমো বক্তব্য দিচ্ছেন। এই কার্যালয় হামাসের সাথে যুক্ত প্রধান কর্মকর্তা এবং আর্থিক নেটওয়ার্কগুলোর ওপর দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রকের ফরেইন অ্যাসেটস কন্ট্রোল কার্যালয়ের গৃহীত নতুন পদক্ষেপের রূপরেখা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়ালি অ্যাডেইমো বক্তব্য দিচ্ছেন। এই কার্যালয় হামাসের সাথে যুক্ত প্রধান কর্মকর্তা এবং আর্থিক নেটওয়ার্কগুলোর ওপর দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রকের ফরেইন অ্যাসেটস কন্ট্রোল কার্যালয়ের গৃহীত নতুন পদক্ষেপের রূপরেখা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়ালি অ্যাডেইমো বক্তব্য দিচ্ছেন। এই কার্যালয় হামাসের সাথে যুক্ত প্রধান কর্মকর্তা এবং আর্থিক নেটওয়ার্কগুলোর ওপর দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রক ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস এবং হামাস-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওপর দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরাইলে নারী এবং শিশুসহ ১৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে । ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এক বিবৃতিতে অর্থ মন্ত্রক বলেছে, নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো তাদের ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল কার্যালয়ের মাধ্যমে আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হলো হামাসের আর্থিক নেটওয়ার্ক, হামাসের বিনিয়োগ পোর্টফোলিওতে অতিরিক্ত সম্পদ এবং পূর্ববর্তী ও বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞাগুলোকে ফাঁকি দিতে সহায়তা করেছে এমন ব্যক্তিবর্গ।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইরানের বিপ্লবী গার্ড কোর এবং গাজা-ভিত্তিক একটি সংস্থার সদস্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তারা ইরান থেকে হামাস এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদকে অবৈধ তহবিল সরবরাহ করে।
নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো ১৮ অক্টোবর আরোপিত প্রাথমিক পর্বের নিষেধাজ্ঞার পরে আরোপ করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো হামাসের অপারেটিভ এবং আর্থিক সুবিধাদাতাদের লক্ষ্য করে আরোপ করা হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালের মে মাসে হামাসের গোপন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ পোর্টফোলিও পরিচালনার সাথে জড়িত কর্মকর্তা এবং সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
সংস্থাটি বলেছে, সুদান, আলজেরিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্যান্য দেশে বৈধ ব্যবসার আড়ালে পরিচালিত কোম্পানিগুলোসহ হামাসের গোপন পোর্টফোলিওর মূল্য কয়েক মিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মন্ত্রকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবারের নিষেধাজ্ঞাগুলো হামাসকে আর্থিক, লজিস্টিক এবং অপারেশনাল সহায়তা প্রদানে ইরান যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তাও তুলে ধরা হয়েছে।
পৃথক এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, “সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধ ও রোধ করার জন্য আমাদের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে” আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় হামাসের প্রবেশাধিকার বাধাগ্রস্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র তার অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাবে। ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।