মধ্যপ্রাচ্যের সহিংসতার অনুভব যুক্তরাষ্ট্রের তীব্রভাবে পরিলক্ষিত হওয়ায় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদি, আরব এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য হুমকি ক্রমাগত যে বাড়ছে সে বিষয়ে উপর নজর রাখছেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) এবং এফবিআই বুধবার রাতে হালনাগাদ একটি সতর্কীকরন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে যাতে “গত এক সপ্তাহে হুমকির সংখ্যা বেড়েছে এবং বার বার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে সতর্ক করা হয়।
ঐ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে “ঐসব হুমকির মধ্যে রয়েছে উপাসনালয়গুলোকে লক্ষ্য করে ভুয়া বোমা হামলার হুমকি এবং অনলাইনে অত্যন্ত হিংসাত্মক বক্তব্য রেখে ইহুদি, আরব আমেরিকান ও মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণকে উৎসাহিত করা।
বিজ্ঞপ্তিতে ইলিনয়ে ১৪ অক্টোবর ছুরির আঘাতে ৬ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি আমেরিকান শিশু নিহত ও তার মাকে গুরুতরভাবে আহত করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী হামলায় ১,৪০০ ইসরাইলি নিহত হওয়ার পর নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস ও ওয়াশিংটনসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পুলিশের পাহারা ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে । ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের বিমান অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় হামাসের একজন সাবেক কর্মকর্তা একদিনের ক্ষোভ দিবস পালনের আহ্বান জানালে তার আগে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের হামলায় সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ডিএইচএস এবং এফবিআইয়ের সর্ব সাম্প্রতিক নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে সবচেয়ে বড় হুমকি আসছে, “সহিংস চরমপন্থী এবং চলমান ঘটনার দ্বারা অনুপ্রাণিত বা প্রতিক্রিয়াশীল একক অপরাধীদের” কাছ থেকে ।
“আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই যে বিদেশী শত্রুরা বা পাল্টা আক্রমণকারীরা আমেরিকার বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করছে তবে এতে আরও বলা হয়েছে যে “কেউ কেউ সংঘাতের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে এবং তাদের নিজ নিজ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সহিংসতার আহ্বান জানাচ্ছে।
বিশেষ করে কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি, বিমানবন্দর ও দূতাবাসে হামলা চালিয়ে হামাসকে সমর্থন করার জন্য ১৩ অক্টোবর আল-কায়েদা যে আহ্বান জানায় তার কথা উল্লেখ করেছেন। ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।