News update
  • Christmas in Bangladesh Thursday     |     
  • Bangladesh Bars Internet Shutdowns, Restores BTRC Autonomy     |     
  • Tarique Rahman Leaves London for Bangladesh After 17 Years     |     
  • Govt welcomes Tarique Rahman’s return, assures full coop     |     
  • BNP strikes polls deal with 7 more partners, reserves 8 seats     |     

প্যারিসে গাজা সহায়তা সম্মেলন শুরু

গ্রীণওয়াচ ডেক্স সংঘাত 2023-11-09, 1:11pm

image-113654-1699509136-874f8cd3a4c9e0157557df3fc120a2f11699513915.jpg




ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বৃহস্পতিবার গাজার জন্য মানবিক সহায়তার বিষয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছেন। তবে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক বোমা হামলায় গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করার জন্য দায়ী ইসরায়েল এই সম্মেলনে থাকবে না।

ম্যাক্রোঁর একজন সহযোগী সম্মেলনের আগে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ইসরায়েলসহ সব সরকারেরই গাজার মানবিক পরিস্থিতির উন্নতিতে আগ্রহ’ রয়েছে।’

গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, প্রতিশোধমূলক ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে ১০,৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারীও শিশু।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় কোনো জ্বালানি সরবরাহ করা যাবে না এবং হামাসের সঙ্গে কোনো যুদ্ধবিরতিও হবে না।

এলিসি প্যালেস জানিয়েছে, ম্যাক্রাঁ মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলেছেন এবং বৃহস্পতিবারের সহায়তা সম্মেলন শেষ হলে এই জুটি আবার কথা বলবেন।

হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বুধবার এএফপি’কে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় তিন দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ছয় আমেরিকানসহ হামাসের হাতে আটক এক ডজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আলোচনা চলছে।

অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, কাতার ‘এক থেকে দুই দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ১০-১৫ জিম্মিকে মুক্ত করতে’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমন্বয় করে আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে।

মিশরের মতো কাতারও গাজা উপত্যকায় আরও সাহায্য আনার প্রচেষ্টায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে।

এলিসি প্রাসাদ জানিয়েছে, ম্যাক্রোঁ মঙ্গলবার মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সাথে কথা বলেছেন।

বৃহস্পতিবারের সহায়তা সম্মেলনটি ১০-১১ নভেম্বর বার্ষিক প্যারিস শান্তি ফোরামের সাইডলাইনে তাড়াহুড়ো করে একসাথে করা হয়েছে।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় গত সপ্তাহে বলেছে, ‘সমস্ত প্রধান দাতাদের কাছাকাছি যাওয়া এবং গাজায় সাহায্যের গতি বাড়ানোর ধারণাটি হল, এতে খাদ্য, জ্বালানি এবং চিকিৎসা সরবরাহ, আর্থিক এবং মানবিক সহায়তার মতো পণ্যের অনুদানের বিভাগ থাকবে।

কিছু আরব দেশ প্রতিনিধি পাঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যদিও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তার প্রধানমন্ত্রী এবং মিশর এক মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠাবে।

ইইউ প্রধান চার্লস মিশেল এবং উরসুলা ভন ডার লেইনের সাথে গ্রীস, আয়ারল্যান্ড এবং লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন।

সম্মেলন শেষে কোনো যৌথ ঘোষণার পরিকল্পনা নেই।

নাম প্রকাশে অুনিচ্ছুক একটি ইউরোপীয় কূটনৈতিক সূত্র এএফপি’কে বলেছে, ফ্রান্স চায় না যে এই সম্মেলনটি ইসরায়েলের নিন্দা করার একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হোক।’

গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ভাগ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে। ইসরায়েলি অবরোধে বন্দী এলাকা থেকে সাধারণ নাগরিকরা পালিয়ে যেতেও পারছে না। এ কারণে মানবিক ‘বিরতি’ বা সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জোরদার হয়েছে। বাসস।