News update
  • Expats must register thru mobile app to vote in BD polls     |     
  • US Faces Pressure as UN Votes on Gaza Ceasefire     |     
  • Prof Yunus includes 4 political leaders in UNGA tour del     |     
  • Tarique calls for vigilance to prevent troubles during Puja     |     
  • Parties divided on constitution order move over July Charter     |     

ইসরায়েলের রাফাহ অভিযান সীমা লঙ্ঘন করেনি, বলছে হোয়াইট হাউজ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2024-05-29, 12:48pm

erwrqwr-3d74d6d3e921fcd7d53ab966a20faf331716966033.jpg




হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফাহ শহরে পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এমনটা মনে করে না।

ইসরায়েলি বাহিনী শহরটি কেন্দ্রে পৌঁছানো এবং মিশর সীমান্তে নজরদারির জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি পাহাড় দখলের খবর আসার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি এ মন্তব্য করলেন।

চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যদি ইসরায়েল রাফার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রবেশ করে যেখানে লাখের বেশি বেসামরিক নাগরিক এখনো আশ্রিত আছে বলে মনে করা হচ্ছে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে অস্ত্র সরবরাহ করা সীমিত করে দেবে।

মি. কিরবি একই সাথে ইসরায়েলের বিমান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ওই হামলায় রোববার বাস্তুচ্যুতদের একটি তাঁবুর শিবিরে আগুন ধরে গেলে অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়, যাদের মধ্যে অনেক নারী, শিশু ও বৃ্দ্ধও ছিল।

ইসরায়েল বলছে তাদের বিশ্বাস হামাসের মজুদ করে রাখা অস্ত্র বিস্ফোরণের কারণেই ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তারা হামাসকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে এবং তাদের দুজন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করেছে।

জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন যে রোববারের অভিযানের যেসব ছবি পাওয়া গেছে, যেখানে বেশিরভাগই নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ মারা গেছে- তা ছিল ‘হৃদয়বিদারক’ ও ‘ভয়ঙ্কর’।

“সংঘাতের কারণে কোনো নিরীহ মানুষের জীবনহানি হওয়া উচিত নয়,” বলেছেন তিনি।

তিনি স্বীকার করেন যে ইসরায়েল ঘটনার তদন্ত করছে এবং একই সাথে বলেছেন যে রাফাহর সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপটে তার আগের বক্তব্য পরিবর্তনের কোনো নীতি তার নেই।

“একটি বড় ধরনের স্থল অভিযান হয়েছে এমনটি আমরা এখনো বিশ্বাস করি না....এবং এ পর্যায়ে আমরা সেটি দেখিনি,” বলছিলেন তিনি।

“আমরা রাফাহ শহরে তাদের তেমন ধ্বংস করতে দেখিনি। সেখানে তেমন ধরনের অভিযান ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে বলে প্রেসিডেস্ট আগেই জানিয়েছেন।”

“আমরা তাদের বড় ইউনিট, বিপুল সংখ্যক সৈন্য নিয়ে অনেকগুলো লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে তেমন সমন্বিত কিছু করতে দেখিনি”।

এদিকে ইসরায়েলি পার্লামেন্টে দেয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবারের অভিযানকে ‘দুঃখজনক দুর্ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করলেও অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

মঙ্গলবার দেশটির সেনাবাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে যে রাফাহ শহরে ‘সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তু’র বিরুদ্ধে তাদের তৎপরতা অব্যাহত আছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত আল আওদার কাছে ট্যাংক মোতায়েন করা হয়েছে।

সেখানকার অধিবাসীরা জানিয়েছেন শহরের পশ্চিমাঞ্চলে সোমবার মধ্যরাতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী আল মাওয়াসিতে গোলাবর্ষণের অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেছে। এটিও একটি তাঁবুর ক্যাম্প।

স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন যে সেখানে একুশ জন মারা গেছে।

সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হওয়া ভিডিও পর্যালোচনা করে বিবিসি ভেরিফাই বেশ কিছু ব্যক্তিকে গুরুতর আহত দেখেছে।

বিস্ফোরণ জোনের কোনো পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যায়নি যেখান থেকে দুর্ঘটনার কারণ বের করা সম্ভব।

সেসব ভিডিও থেকে ঘটনাস্থল- আশেপাশের ভবন দ্বারা ঘটনা স্থল চিহ্নিত করা হয়েছে- যেটি রাফাহ ও আল মাওয়াসির মাঝামাঝি এবং এটি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর চিহ্নিত করা মানবিক জোনের দক্ষিণে।

ইসরায়েল দাবি করছে যে রাফাহর নিয়ন্ত্রণ নেয়া ছাড়া গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে জয়লাভ অসম্ভব। একই সঙ্গে এ অভিযান মানবিক বিপর্যয় তৈরি করবে- এমন সতর্কতা প্রত্যাখ্যান করেছে তারা।

জাতিসংঘ বলেছে প্রায় দশ লাখ মানুষ রাফাহ থেকে পালিয়েছে। কিন্তু আরও কয়েক লাখ এখনো সেখানে আশ্রয় নিয়ে আছে।

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ হামাস যোদ্ধা ও এর অবকাঠামোকে টার্গেট করে অভিযান শুরু করেছে গত ৬ই মে।

এরপর থেকে ট্যাংক ও সৈন্যরা ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়েছে পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের দিকে। একই সাথে তারা মিশর সীমান্তের দিকেও অগ্রসর হয়েছে।

গত সাতই অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় পাল্টা অভিযান শুরু করে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গাজায় এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৯০ জন মারা গেছে। বিবিসি বাংলা