News update
  • Billionaire Backers Turn Critics of Trump’s Tariff Plan     |     
  • Bangladesh Ranked 47th Most Powerful Country      |     
  • Saima Wazed Took RAJUK Plot Without Formal Application: ACC     |     
  • Reforms in key sectors could create millions of jobs in BD: WB     |     

জাতিসংঘের মহাসচিবকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইসরায়েল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2024-10-02, 10:07pm

antonio_gutierrez-7a83c183d2d205389ab634c00159f4141727885241.jpg




ইরানের হামলার নিন্দা না জানানোয় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ইসরায়েলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আজ বুধবার (২ অক্টোবর) গুতেরেসকে ‘পারসনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে তিনি যে কূটনৈতিক সুবিধা পান, সেটা দেবে না ইসরায়েল। ইসরায়েলি সরকার বলেছে, জাতিসংঘের ইতিহাসে ‘একটি কলঙ্ক’ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন আন্তোনিও গুতেরেস।

দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎস বলেন, ‘আজ আমি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ইসরায়েলে পারসনা নন গ্রাটা ঘোষণা করছি এবং তাঁর ইসরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করলাম। কোনো ব্যক্তি ইসরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীনভাবে সমালোচনা করতে না পারলে, যেটা বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ করেছে, তিনি ইসরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারেন না।’

গেল বছর ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় একটি সামরিক অভিযান শুরু করে, তখন প্রায় ১২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের এই মহাসচিব এখন পর্যন্ত হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে যে হত্যাকাণ্ড ও যৌন নৃশংসতা চালিয়েছে, তার নিন্দা করেননি। তা ছাড়া হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণারও কোনো পদক্ষেপ তিনি নেননি। আন্তোনিও গুতেরেস তাঁদের সঙ্গে থাকুক বা না থাকুক ইসরায়েল নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষা ও জাতীয় মর্যাদা সমুন্নত রাখতে কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।’

গত বছরের অক্টোবরে গুতেরেস বলেছিলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ইসরায়েলে হামাসের ৭ অক্টোবরের ভয়াবহ ও নজিরবিহীন হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। কোনোভাবেই বেসামরিক নাগরিকদের বেপরোয়াভাবে হত্যা, আহত করা ও জিম্মি করার ন্যায্যতা প্রমাণ করা যায় না। সব জিম্মির সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে এবং অতি সত্বর তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’

একই বক্তৃতায় গুতেরেস আরও বলেছেন, ‘এটা স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ যে হামাসের হামলা শূন্য থেকে হয়নি। ফিলিস্তিনের মানুষ ৫৬ বছর ধরে দম বন্ধ হয়ে আসার মতো ইসরায়েলি দখলদারিতে রয়েছে।’ গুতেরেসের এই বক্তব্যে অনেক ইসরায়েলি ক্ষুব্ধ হন।

অপরদিকে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, হামলার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট ৪১,৬৮৯ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য ইউএনআরডব্লিউএ-এর ভূমিকা নিয়েও ইসরায়েল ও জাতিসংঘের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। যদিও গত মাসে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের প্রায় ছয় দশকের দখলদারির অবসান চেয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রায় সব দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে সমর্থন দেন।