তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আরও একটি ভূগর্ভস্ত ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি উন্মোচন করল ইরান। দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) নৌবাহিনী শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দেশের দক্ষিণ উপকূলে নবনির্মিত এই ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা প্রদর্শন করে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ খবর জানানো হয়।
খবরে বলা হয়েছে, আইআরজিসির প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এদিন দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলের এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, আইআরজিসি সদস্যসহ ইরানের সশস্ত্র বাহিনী দেশকে রক্ষা ও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহগুলোতে ইরান যে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি উন্মোচন করেছে, তা দেশের সামরিক শক্তির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আইআরজিসির নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলি রেজা তাংসিরিও ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, নতুন উন্মোচিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কদর-৩৮০ মডেলের মতো, যা পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ের প্রস্তুতিতে উৎক্ষেপণযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। এর অ্যান্টি-জ্যামিং ক্ষমতা রয়েছে, যার ফলে ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
আইআরজিসির নৌবাহিনী দিন দিন ইরানের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং যে কোনো হুমকির জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান অ্যাডমিরাল আলি রেজা।
একই সময়ে নতুন একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও উন্মোচন করেছে ইরান। এটি ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার (১ হাজার ৫৬ মাইল) দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শনী হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি আইআরজিসি নৌবাহিনী পারস্য উপসাগরের একটি অজ্ঞাত স্থানে ভূগর্ভস্থ একটি নৌ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি প্রদর্শন করে। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ফোর্স আরেকটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র শহর উন্মোচন করে।