News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

গাজায় যেভাবে ডিজিটাল অস্ত্র ব্যবহার করছে ইসরাইল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-04-09, 8:18pm

rtretert-ad9e215ad08fb2eba4820147ff15e9b91744208310.jpg




গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। শুধু ট্যাংক, বোমা আর ড্রোনই নয়, যুদ্ধের মাঠে রয়েছে তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল অস্ত্র, যা দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক করা হচ্ছে লক্ষ্যবস্তু। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বাহিনীকে এই ডিজিটাল অস্ত্রের জোগান দিচ্ছে গুগল, মাইক্রোসফটসহ বিশ্বখ্যাত মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো।

যুদ্ধের ধরণ পাল্টেছে। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী যেসব আক্রমণ চালাচ্ছে, তার বেশিরভাগই পরিচালিত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে। 

এআই নির্ভর নজরদারি প্রযুক্তি, টার্গেটিং সিস্টেম ও ড্রোন পরিচালনার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা এরই মধ্যে অপারেশনাল ইউনিটে যুক্ত করার কথা স্বীকার করেছে ইসরাইল। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর, দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী এখন যুদ্ধে মানব সম্পৃক্ততা কমিয়ে প্রযুক্তি-নির্ভরতা বাড়ানোর দিকে জোর দিচ্ছে।

এই ব্যবস্থায় এআই ব্যবহার করে বিশাল পরিমাণ উপগ্রহচিত্র, ফোন কল, ভিডিও ফুটেজ ও সোশ্যাল মিডিয়া তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এরপর সম্ভাব্য 'টার্গেট' শনাক্ত করে হামলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই 'অ্যালগরিদমিক ওয়ারফেয়ার' গাজার সাধারণ মানুষের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই প্রযুক্তির যোগানদাতা হিসেবে বারবার উঠে আসছে মার্কিন টেক জায়ান্টগুলোর নাম। মাইক্রোসফট দীর্ঘদিন ধরেই 'অ্যাজিউর গভর্নমেন্ট' নামে একটি পৃথক সিকিউর ক্লাউড প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। 

এই ক্লাউডে বিশাল তথ্যভাণ্ডার সঞ্চিত রাখা হয়, যা রিয়েল টাইম বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়। এদিকে 'প্রোজেক্ট নিমবাস' নামে একটি যৌথ প্রকল্পে ২০২১ সালেই ইসরাইলি সরকারকে এআই ও ক্লাউড সেবা সরবরাহের জন্য এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে গুগল।

প্রযুক্তির এমন ব্যবহার নিয়ে উঠছে তীব্র বিতর্ক। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা মানে যুদ্ধাপরাধ থেকে দায়মুক্তি নিশ্চিত করা। কারণ এতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো জানতেও পারছে না, তাদের প্রযুক্তি কোথায়, কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রযুক্তি যুদ্ধের দায়ভার মানুষ থেকে সরিয়ে মেশিনের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। এবং সেই সুযোগেই আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেও অনেক সরকার পার পেয়ে যাচ্ছে।

আরও উদ্বেগের বিষয় সম্প্রতি গুগল ও ওপেনএআই উভয়েই তাদের এআই ব্যবহারের নীতিমালা পরিবর্তন করেছে। আগে এসব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে স্পষ্ট লেখা থাকত যে, এআই কখনোই অস্ত্র বা নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হবে না। 

কিন্তু এখন সেই শর্ত সরিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এআই ব্যবহারে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে এখন এআই প্রযুক্তি সরাসরি সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের পথ প্রশস্ত হয়েছে।