ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। আয়োজকরা জানিয়েছেন, নৌবহর ইসরাইলের ঘোষিত ‘বিপৎসীমায়’ প্রবেশ করেছে যা গাজার উপকূল থেকে প্রায় ২২৫ কিলোমিটার বা প্রায় ১২১ নটিক্যাল মাইল দূরে।
আগেরবারের ফ্লোটিলাগুলোকে এখানেই আটকানো বা আক্রমণ করা হয়েছিল। ইসরাইল এবারও তাদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে তেমন পদক্ষেপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আয়োজকরা। টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ নৌবহর আটকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রতিবেদন মতে, আগের মতোই নৌবহরের শত শত কর্মীকে আটক করে তীরে আনার পর নির্বাসিত করা হতে পারে। কিছু জাহাজ সাগরে ডুবিয়ে দেয়া হতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই অভিযান আজ বুধবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শুরু হওয়া ইহুদিদের পবিত্রতম দিন ইয়ম কিপ্পুরের সময় শুরু হতে পারে।
ইসরাইলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান জানিয়েছে, ফ্লোটিলাটি দখলে নিতে ইসরাইল নৌবাহিনীর কমান্ডো ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ফ্লোটিলায় থাকা শত শত লোককে বড় একটি নৌযানে তোলা হবে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আশদোদ বন্দর হয়ে ইসরাইল থেকে বহিষ্কার করা হবে। তবে প্রায় ৫০টি জাহাজকে টেনে নেয়া সম্ভব নয়। তাই কিছু জাহাজকে সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া হবে।
ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গাজায় ইসরাইলের অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে চলতি মাসের শুরুর দিকে যাত্রা শুরু করে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা।
আনাদোলুর প্রতিবেদন মতে, ফ্লোটিলার নিরাপত্তা থেকে ইতালির সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে একটি ইসরাইলি যুদ্ধজাহাজ ফ্লোটিলার প্রধান জাহাজ আলমার পাঁচ ফিটের মধ্যে চলে আসে এবং এর সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ইঞ্জিন জ্যাম করে দেয়।
ফ্লোটিলায় অবস্থান করা আল জাজিরার এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, এই সময় জাহাজটিতে থাকা অধিকারকর্মী নিরাপত্তা প্রোটোকল মেনে তাদের ফোনগুলো সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলেন। ওই সংবাদদাতা পরে জানান, ইসরাইলি জাহাজটি এলাকা ছেড়ে চলে গেছে, যার ফলে নৌবহর ফের চলতে শুরু করে।
তিনি আরও জানান, অল্প সময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন থাকার পর আলমা জাহাজের সাথে যোগাযোগ পুনরুদ্ধার হয়েছে। এই বহরে ৫০টির বেশি নৌযান রয়েছে। নৌযানগুলোতে অবস্থান করছেন ৫০০-এর বেশি যাত্রী, যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।