News update
  • UN Report Calls for New Thinking to Secure a Sustainable Future     |     
  • BNP moves to finalise seat sharing as alliance friction grows     |     
  • BNP plans universal 'Family Card' for all women: Tarique Rahman     |     
  • Tangail saree weaving gets recognition as intangible cultural heritage     |     
  • Chuadanga farmers thrive as cauliflower yields hit new high     |     

সুদানের আল-ফাশেরে কী ঘটছে, কীভাবে জড়িত আরব আমিরাত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-11-01, 9:20am

6a8941e3216500c8a901bff9c8d2d805ef85a4156ca61409-d24f30e63bd63134db6b52ffba59cd351761967215.jpg




নরকে রূপ নিয়েছে সুদানের আল-ফাশের শহর। আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) দখলে নেয়ার পর শহরটিতে নিহত হয়েছেন শত শত নিরস্ত্র মানুষ। গৃহযুদ্ধে এরইমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১২ লাখ মানুষ। মানবিক সহায়তা ছাড়া পরিস্থিতি দ্রুত দুর্ভিক্ষে গড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।

একসময়ের প্রাণচঞ্চল শহর সুদানের আল-ফাশের এখন মৃত্যুকূপে পরিণত। আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকেই নির্বিচারে চলছে হত্যাযজ্ঞ।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা, নারীদের ওপর যৌন সহিংসতা, ঘরবাড়ি ও আশ্রয়কেন্দ্রে আগুন, সবই এখন নিত্যদিনের ঘটনা।

ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি স্থানীয় হাসপাতাল, স্কুল এমনকি শরণার্থী ক্যাম্পও। শুধু একটি হাসপাতালেই প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। খাদ্য ও ওষুধের অভাবে শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে দুর্ভিক্ষের শঙ্কা। আরএসএফের এক কমান্ডার অবশ্য এসব অভিযোগকে ‘মিডিয়ার অতিরঞ্জন’ বলে দাবি করেছেন। তার ভাষ্যমতে, এটি সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে বানানো গল্প।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হিসাবে দারফুর অঞ্চলজুড়ে এখন পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত প্রায় ১২ লাখ মানুষ। প্রতিবেশী দেশ চাদে আশ্রয় নিয়েছে আরও আড়াই লাখ শরণার্থী।

ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানাচ্ছে—অপুষ্টি ও পানির অভাবে মারা যাচ্ছে বহু শিশু। জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, সহায়তা না বাড়ালে এ সংকট রূপ নেবে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে।

এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমাদের অভিযোগ, আরএসএফকে অস্ত্র ও অর্থ দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এছাড়া সুদানের সেনাবাহিনীও আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে আরএসএফকে সমর্থন দেয়া ও ড্রোন হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশ বলছে, অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে অস্ত্র বাণিজ্য বন্ধ রাখা উচিত। যদিও সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইউএই।

এদিকে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে হতাশা জানিয়েছে জাতিসংঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, মিশর ও ইউএই মিলে যে তিন মাসের মানবিক বিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল, তা বাস্তবায়ন হয়নি।

সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও আরএসএফ নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালোর ক্ষমতার লড়াই এখন পুরো দেশকে গ্রাস করেছে।

২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের পতনের পর একসময়কার সহযোগী এই দুই নেতা পরিণত হয়েছেন রক্তক্ষয়ী শত্রুতে। সেনাবাহিনীতে আরএসএফকে একীভূত করার বিরোধ থেকেই গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত।