কবি নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ রিমেক করেছিলেন এ আর রহমান। মূলত বলিউডের ‘পিপ্পা’ সিনেমার জন্যই গানটি নতুন আঙ্গিকে তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু গানটি প্রকাশিত হওয়ার পরই গানটিকে বিকৃত করা হয়েছে— এমন অভিযোগ তোলেন বিদ্রোহী কবির নাতি অনির্বাণ কাজী।
এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে রহমানের কম্পোজ করা ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের ভার্সনটি সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রলসহ এ আদেশ দেন। গত ৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী ও ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির এ রিট দায়ের করেন।
সুপ্রিম কোর্টের ওই ১০ আইনজীবী হলেন— ব্যারিস্টার মাহদী জামান, ব্যারিস্টার আহমেদ ফারজাদ, আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন, শহিদুল ইসলাম, নাঈম সরদার, ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার শেখ মঈনুল করিম, মো. শাহেদ সিদ্দিকী, মো. আনাস মিয়া ও মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান। পাশাপাশি রিটে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে ১৯ নভেম্বর অবিলম্বে বাংলাদেশে ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের এ আর রহমান ভার্সন ফেসবুক, ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, ওটিটি প্ল্যার্টফর্ম, ওয়েবসাইট ও অন্যান্য নেটমাধ্যম থেকে অপসারণ বা ব্লক করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। আর এতে সাড়া না পেয়ে রিট করা হয়।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে বলিউড সিনেমা ‘পিপ্পা’। এতে কবি নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের রিমেক ব্যবহার হয়েছে। রিমেকটি তৈরি করার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন রহমান। নতুন সুরের গানটিকে মেনে নিতে পারছেন না পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশের নজরুলের ভক্তরা।
গানটিকে বিকৃত করা হয়েছে অভিযোগ এনে অনির্বাণ বলেন, রহমানকে সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়েই জানতে চাই, তাকে কে অধিকার দিল গানটি বিকৃত করার? স্বত্ব দেওয়ার সময় তো সুর বদলের কথা বলা হয়নি। কী রকম একটা করে দিয়েছে গানটাকে! একটা গ্রামীণ সংগীতের মতো, ভাটিয়ালির মতো করে দিয়েছে। অনেক সস্তা করে দিয়েছে’। গানের ক্রেডিট থেকে তার পরিবারের নাম মুছে ফেলা হোক।
প্রসঙ্গত, ১৯২২ সালের ২০ জুন ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটি লিখেছিলেন কবি কাজী নজরুল। পরে ১৯৪৯ সালের জুন মাসে রেকর্ড করা হয় গানটি। গিরিন চক্রবর্তীর গলায় প্রথম ভেসে ওঠে বিদ্রোহের এই গান। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।