News update
  • Unified Action Must to Revive Bangladesh’s Ailing Rivers: Rizwana     |     
  • France welcomes Foundation for Strategic & Development Study     |     
  • Countrywide combined night police patrols begin: Adviser     |     
  • Miscreants Launch Attack on Air Force Base in Cox's Bazar: ISPR     |     
  • Munshiganj General Hospital catches fire; no injury reported     |     

কিছু মানুষ নামের পূর্বে ‘হিরো’ লাগিয়ে জাতীয় হিরোতে পরিণত হয়: সোহানা সাবা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সেলিব্রিটি 2024-10-20, 7:56pm

ertewtwerwetw-deb3dde1d23159a7ebc22da6b55917d31729432613.jpg




শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই চাপের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিল্পীরা। এমনকি সামাজিকমাধ্যমেও কটাক্ষের মুখে পড়ছেন অনেকেই। অনেক শিল্পীই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন কিনেছিলেন কিংবা চেয়েছিলেন। তাদেরই একজন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।

ছাত্র আন্দোলনে নিজের অবস্থান নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে নিদারুণ কটাক্ষের শিকার হলেও সাবা কখনোই কোনো বিষয়ে নিজের মতপ্রকাশ থেকে বিরত থাকেননি। তবে সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব তিনি। প্রায়ই নিজের মনোভাব প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে। সেই ধারাবাহিকতায় রোববার (২০ অক্টোবর) একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেন সাবা। যেখানে তিনি লেখাটা শুরু করেছেন সদ্যপ্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী মনি কিশোরকে নিয়ে।

রোববার (২০ অক্টোবর) স্ট্যাটাসে সাবা লিখেন, মনি কিশোর নামে একজন গায়ক মারা গেছেন আজ সকালে জানতে পারলাম। তার গানগুলো শুনে শুনে বড় হয়েছি। কিন্তু তিনি যে বেঁচে আছেন বা কোথাও আছেন সে সম্পর্কে কখনো কোন কৌতূহল তৈরি হয়নি। তার মতো একজন গুণী গায়ক সে রকম কোনো সুযোগ সুবিধা চেয়েছেন বা পেয়েছেন বলেও আমার জানা নেই। ভালো হয়েছে যে তিনি লোক চক্ষুর আড়ালে ছিলেন।

সাবা আরও লিখেন, তিনি যদি সবার সামনে থাকতেন, অনেক শিল্পীদের জন্য অথবা অনেক অযোগ্য শিল্পীদের জন্য তিনি থ্রেট হিসেবে থাকতেন! তখন সে অশিল্পীরা বা অযোগ্য লোকরা এসে কোন একটা দুর্বলতার মুহূর্তে বলে উঠতেন, ওর কি কোনো বেল আছে? ও কি শিল্পী হওয়ার যোগ্য? একটা দুইটা গান গেয়ে ফেমাস হয়ে নিজের শিল্পী হিসেবে সত্তাকে বেচে দিয়েছেন!

এরপর ভিন্ন একটি প্রসঙ্গে লিখেছেন সাবা, কদিন আগে একটা চমৎকার পর্যালোচনা পড়ছিলাম, কী করে একটি অপ্রতুল দ্বীপে বড় মাংসাশী প্রাণীগুলো সাইজে ছোট হতে থাকে এবং কী করে ছোট প্রাণী যেমন টিকটিকি গিরগিটি সাইজে বড় হতে থাকে। কী করে আমাদের দেশে আবদুল্লাহ আবু সাইদের মতো পণ্ডিত ব্যক্তি থাকতে কিছু মাথামোটা মানুষ সবার জাতীয় পণ্ডিতে পরিণত হয়! কী করে চমৎকার কিছু সিনেমায় চমৎকার অভিনয়ের পরেও কিছু মানুষ নিজের নামের পূর্বে ‘হিরো’ লাগিয়ে জাতীয় হিরোতে পরিণত হয়।

সবশেষে সোহানা সাবা লিখেন, ডিজিটাল যুগে ভুলভাল কাণ্ড করে অথবা সেলিব্রেটিদের সাথে নিজের পিআর বাড়িয়ে নিজেদেরকে সেলিব্রেটি ভাবলেই কি আপনি সত্যিকারের শিল্পী হয়ে উঠলেন? একবার ভাবুন, মাথাটা খাটান। আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন। অবশ্য মাথা এবং আয়না পরিষ্কার থাকলে পরিষ্কার দেখতে পাবেন, নাহলে কিছুই দেখতে পাবেন না। এই ভুল ধারণা নিয়েই জীবন কাটিয়ে দেবেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে প্রয়াত অভিনেত্রী ও নির্মাতা কবরীর ‘আয়না’ চলচ্চিত্রে পা রাখেন সাবা। ‘খেলাঘর’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘প্রিয়তমেষু’, ‘বৃহন্নলা’ ও ‘ষড়রিপু’ সিনেমায় কাজ করে দারুণ প্রসংশা কুড়িয়েছেন তিনি।

আরটিভি