News update
  • ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)-এর পরিচালনা পরিষদের ১৭তম সভা অনুষ্ঠিত     |     
  • Tens of millions at risk of hunger as funding crisis spirals     |     
  • Yunus Urges Trump to Delay New Tariffs by Three Months     |     
  • Bangladesh Erupts in Nationwide Protests for Gaza Solidarity     |     
  • Trump’s Tariffs Put 1,000 Bangladeshi Exporters at Risk     |     

বছরের শুরুতেই রপ্তানি আয়ে রেকর্ড

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-02-04, 11:47pm

iashiuoa9opa-e23c25072d20369b6b674b035d84ba5c1707068861.jpg




চলতি বছর জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্সের পর রপ্তানি আয়েও রেকর্ড করলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মোট রপ্তানি মূল্য জানুয়ারিতে ৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি সাত মাসে রপ্তানি ছিল ৩২ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত সাত মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।

ইপিবি আরও জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মাসে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি করা হয়েছে। এ সময় রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭২৪ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৫ হাজার ১৩৬ দশমিক ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তবে জানুয়ারি মাসে পূরণ হয়নি রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা। এ মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৭৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা থেকে শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ কম রপ্তানি আয় হয়েছে।

এদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩৬৩ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলারে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ কম।

তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয়ের মধ্যে নিটওয়্যার রপ্তানি থেকে ১৬ হাজার ১৭৯ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ডলার এসেছে, যা ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ওভেন পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ১২ হাজার ১৮৩ দশমিক ৭২ মিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ২ দশমিক ২০ শতাংশ।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি কমেছে। হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি আয় ৩৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫৪ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন ডলারে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ কম।

এছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬২৮ দশমিক ০৬ মিলিয়ন ডলারে, যা গত অর্থবছরে জুলাই থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে ছিল ৭৩৩ দশমিক ০৯ মিলিয়ন ডলার। তবে জুলাই থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয় ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে ৫৭২ দশমিক ৭২ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে প্রবাসীরা জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। গত সাত মাসের মধ্যে যা ছিল সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় এ অর্থ ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। তবে গত ২০২৩ সালের জুনে দেশে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সে এসেছে।