ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সোমবার (২১ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন এবং শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রাঙ্গণে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ ও অবরোধ করেন। তারা জানান, বিক্ষোভ চলাকালে তাদের ওপর হামলা হয়েছে, এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, কিছু শিক্ষার্থী অফিসের ভেতরে ঢুকে চেয়ারম্যানের কক্ষেও ভাঙচুর চালিয়েছে।
এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৩০ জুন। কয়েক দফা পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার পর ১৫ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এ ফলাফল বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর ভিত্তিতে নতুনভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে, যা অনেক শিক্ষার্থীকে অসন্তুষ্ট করেছে। শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, এসএসসি ও সমমানের সব বিষয়ের ওপর ‘ম্যাপিং’ করে নতুন করে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে ‘এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে মিছিল করে। তারা ফটকের তালা ভেঙে প্রবেশ করে এবং ভবনের ভেতরেও ঢুকে পড়ে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তাদের ওপর হামলা হয়েছে এবং তারা এই হামলার বিচার চান।
অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ফলাফল প্রকাশ করেছেন এবং তাই তার পক্ষ থেকে কিছু করা সম্ভব নয়। তবে পরে তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
বিক্ষোভের কারণে শিক্ষাবোর্ডে সনদ ও নম্বরপত্র নিতে আসা মানুষজনও ভোগান্তিতে পড়েন।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ফলাফলে বৈষম্য হয়েছে অভিযোগ এনে বোর্ডের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করছিল কিছু শিক্ষার্থী। নথিপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র রক্ষায় বোর্ডের কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের বাধা দেন। ধাক্কাধাক্কিতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এনটিভি নিউজ।