News update
  • 5mmcfd gas to be added to national grid from Kailashtila gas field     |     
  • ArmArmed Forces Day: Tarique's message draws on historic closeness     |     
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     

কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে রাবিতে গণকোরআন তিলাওয়াত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2025-01-14, 7:40am

img_20250114_073651-3a4544e4d935a432b2d8d9c14a7f7c961736818833.jpg




রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোড়ানো পবিত্র কোরআন মাজিদ উদ্ধার করা হয়েছে। গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ ও সাতটি আবাসিক হল থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের মুক্তমঞ্চে গণকোরআন তিলাওয়াত কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দাওয়াহ কমিউনিটি’র ব্যান্যারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, গণকোরআন তিলাওয়াত কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ, আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের আতিকুল্লাহ, ইতিহাস বিভাগের আতিক শাহরিয়ার, সাদিকুন্নবি, হারুনর রশীদ ও হাফেজ মেহেদী হাসান অংশ নেন।

এ বিষয়ে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মুসলিমদের জন্য কোরআন হচ্ছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এই গ্রন্থের সঙ্গে এ রকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা বাংলাদেশে এর আগে কখনো ঘটেনি। একজন মানুষ যেকোনো ধর্মের অনুসারী হতে পারে, কিন্তু কোনো ধর্মই অন্য ধর্মকে অবমাননা করতে শেখায় না। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব, যেন এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত করে অনতিবিলম্বে চক্রান্তকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে যে, ‘বাংলাদেশের মধ্যে একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চলছে। তাই এ ঘটনার প্রতিবাদে আমরা এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি।’

আয়োজক কমিটির সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়েবুল হাসান বলেন, ‘ইদানীং ইসলামবিরোধী সংগঠনগুলো বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে উসকানি দিয়ে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে মুসলমানরা সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, এ ধরণের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক।’

গণকোরআন তিলাওয়াত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. মাঈন উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘রোববার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হলের ছাদে, আঙ্গিনায় আল্লাহর কালাম পুড়িয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে। যার উদ্দেশ্য আমরা বুঝতে পারছি।’

আগস্ট বিপ্লবের পরে পরাজিত শক্তি লুকিয়ে আছে উল্লেখ করে উপ-উপাচার্য বলেন, ‘তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি। তারা চায় আমাদের ক্যাম্পাস অচল হয়ে যাক, সমাজে হানাহানি শুরু হোক। কোরআন পোড়ানোর ঘটনা এ ধরনের চক্রান্তের অংশবিশেষ। তবে একটা ধ্বংসাত্মক অপতৎপরতার বিপরীতে শিক্ষার্থীদের এত সুন্দর গঠনমূলক কর্মসূচি আমাকে খুশি করেছে।

এ সময় বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শতাধিক শিক্ষার্থী কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এর আগে রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি আবাসিক হলে পোড়ানো কোরআন উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ও ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাবি শাখা ইসলামি ছাত্রশিবির, রাবি ছাত্রদল ও ছাত্র ফেডারেশন। এদিন বিকেলে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। আরটিভি