News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

জিম্বাবুয়ের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলো বাংলাদেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2022-08-03, 8:56am




জিম্বাবুয়ের কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের লজ্জা পেল বাংলাদেশ।

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে ১০ রানে হারে বাংলাদেশ। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের সিরিজ জয়ের পেছনে বড় অবদান ছিলো রায়ান বার্লের। এ ম্যাচে ২৮ বলে ৫৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। এতে ম্যাচ সেরা হন বার্ল।  

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টির মত সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচেও টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ে। আগের ম্যাচে প্রথমেই বল হাতে আক্রমনে এসে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইন-আপকে ধসিয়ে দিয়েছিলেন স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন। আজ শুরুতেই আক্রমনে আসেননি এ ম্যাচের অধিনায়ক মোসাদ্দেক। নিয়মিত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ইনজুরিতে এ ম্যাচের নেতৃত্বের ভার পান মোসাদ্দেক।

প্রথম দুই ওভারে বাংলাদেশের পক্ষে বোলিং আক্রমনে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মাহেদি হাসান। তাদের ভালো মত সামলে ১৪ রান তুলেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার রেগিস চাকাবভা ও অধিনায়ক ক্রিস আরভিন। তৃতীয় ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমনে এসে ১৫ রান দেন মোসাদ্দেক। চতুর্থ ওভারে নিজের প্রথম ডেলিভারিতেই দলীয় ২৯ রানে জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন আরেক স্পিনার নাসুম আহমেদ। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১০ বলে ১৭ রান করা চাকাবভাকে বিদায় দেন নাসুম। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আরভিন ও তিন নম্বরে নামা ওয়েসলি মাধভেরে। বড় জুটির ইঙ্গিত দিয়ে বেশি দুর যেতে পারেননি তারা। তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান স্পিনার মাহেদি হাসান। ষষ্ঠ ওভারে দ্বিতীয়বার আক্রমনে এসে পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন মাহেদি। প্রথম ম্যাচের দুই হিরো মাধভেরেকে ৫ ও সিকান্দার রাজাকে খালি হাতে থামান মাহেদি। মাহেদির সাথে উইকেট শিকারের উদযাপনে মাতেন মোসাদ্দেক, মাহমুদুল্লাহ ও মুস্তাফিজ। জিম্বাবুয়ের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেন তারা। সিন উইলিয়ামসকে ২ রানে মোসাদ্দেক, মিল্টন শুম্বাকে ৪ রানে মুস্তাফিজ সাজঘরে পাঠান। এক প্রান্ত আগলে থাকা আরভিনকে বিদায় করেন মাহমুদুল্লাহ। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই উইকেট নেন মাহমুদুল্লাহ। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ বলে ২৪ রান করেন আরভিন। ১৩ ওভারে ৬৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতনে মহাচাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। প্রতিপক্ষকে দ্রুত গুটিয়ে দেয়ার স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। কিন্তু ১৪তম ওভারে ২টি চারে পাল্টা আক্রমনের ইঙ্গিত দেন লুক জংওয়ে। আর ১৫তম ওভারে বাংলাদেশের উপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন রায়ান বার্ল। 

নাসুমের করা ঐ ওভার থেকে ৩৪ রান তুলেন বার্ল। প্রথম চার বল ও শেষ ডেলিভারিতে ছক্কা মারেন বার্ল। পঞ্চম বলটি চার হয়েছিলো। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান দেয়ার লজ্জার রেকর্ডে নাম উঠে নাসুমের। আগেরটি ছিলো মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে এক ওভারে ৩১ রান দিয়েছিলেন সাইফুদ্দিন। ব্যাটার ছিলেন ডেভিড মিলার। 

বার্ল-জংওয়ে মিলে ১৬ থেকে ১৮তম ওভারে ৩৬ রান নিয়ে জিম্বাবুয়েকে লড়াকু সংগ্রহের পথ দেখান। ১৭তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলেন বার্ল। এজন্য ২৪ বল খেলেন তিনি। ১৯তম ওভারে বার্ল ও জংওয়েকে থামান পেসার হাসান মাহমুদ। ২৮ বলে ২টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৫৪ রান করেন বার্ল। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২০ বলে ৩৫ রান তুলতে পারেন জংওয়ে। তাদের বিদায়ের পর শেষ ওভারে ৬ রান পায় জিম্বাবুয়ে। ফলে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৬ রান তুলে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের মাহেদি-হাসান ২৮ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ১টি শিকার ছিলো মুস্তাফিজ-মোসাদ্দেক-নাসুম ও মাহমুদুল্লাহর। 

১৫৭ রানের টার্গেটে ভালো শুরুর পথে ছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস। ইনিংসের প্রথম সাত বলের মধ্যে ২টি চারে ১৩ রান তুলেন লিটন। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ভুল শটে আউট হন লিটন। ৬ বলে ১৩ রান করেন তিনি। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা আরেক ওপেনার পারভেন হোসেন ইমন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। ৬ বল খেলে ২ রান করেন তিনি। লিটন-ইমনকে শিকার করেন জিম্বাবুয়ের পেসার নিয়ুচি। দুই ওপেনারের মত বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ আনামুল হকও। ১৩ বলে ২টি চারে ১৪ রান করেন এই ডান-হাতি। ফলে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মাহমুদুল্লাহ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। সাবধানেই খেলছিলেন তারা। তাদেও রান তোলার গতি ছিলো কম। উইকেটে সেট হতে ২৮ বল খেলেন তারা। তাতে রান উঠে ২৬। সেখানে কোন বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি ছিলো না। দশম ওভারে বিদায় নেন শান্ত। ২০ বলে ১৬ রান করেন তিনি। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন মাহমুদুল্লাহ। ১৫তম ওভারে মাহমুদুল্লাহসহ টাইগার অধিনায়ক মোাসদ্দেককে শিকার করে ম্যাচের লাগাম জিম্বাবুয়ের হাতে তুলে দেন পেসার ব্র্যাড ইভান্স। ১টি চারে ২৭ বলে ২৭ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। খালি হাতে বিদায় নেন মোসাদ্দেক।

৯৯ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ ৩০ বলে ৫৮ রান প্রয়োজন পড়ে টাইগারদের। ১৬ ও ১৭তম ওভারে ২১ রান তুলেন ক্রিজে থাকা আফিফ ও মাহেদি। ১৮তম ওভারে ১টি করে চার-ছক্কায় ১১ রান তুলেন মাহেদি। ফলে শেষ ২ ওভারে ২৬ রান দরকার পড়ে বাংলাদেশের। কিন্তু ১৯তম ওভারে মাহেদির উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭ রান পায় টাইগাররা। জংওয়ের করা শেষ ওভারে ১৯ রানের প্রয়োজনে মাত্র ৮ রান তুলে ম্যাচ হাতে বাংলাদেশ। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৬ রান করে টাইগাররা। আফিফ ২৭ বলে ৩টি চারে অপরাজিত ৩৯ রান করেন। ১৭ বলে ২২ রান করেন মাহেদি। জিম্বাবুয়ের নিয়ুচি ২৯ রানে ৩ উইকেট নেন। সিরিজ সেরা হন জিম্বাবুয়ের রাজা। সিরিজে ১২৭ রান ও ২ উইকেট নেন রাজা। 

৯৯ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ ৩০ বলে ৫৮ রান প্রয়োজন পড়ে টাইগারদের। ১৬ ও ১৭তম ওভারে ২১ রান তুলেন ক্রিজে থাকা আফিফ ও মাহেদি। ১৮তম ওভারে ১টি করে চার-ছক্কায় ১১ রান তুলেন মাহেদি। ফলে শেষ ২ ওভারে ২৬ রান দরকার পড়ে বাংলাদেশের। কিন্তু ১৯তম ওভারে মাহেদির উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭ রান পায় টাইগাররা। জংওয়ের করা শেষ ওভারে ১৯ রানের প্রয়োজনে মাত্র ৮ রান তুলে ম্যাচ হাতে বাংলাদেশ। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৬ রান করে টাইগাররা। আফিফ ২৭ বলে ৩টি চারে অপরাজিত ৩৯ রান করেন। ১৭ বলে ২২ রান করেন মাহেদি। জিম্বাবুয়ের নিয়ুচি ২৯ রানে ৩ উইকেট নেন। সিরিজ সেরা হন জিম্বাবুয়ের রাজা। সিরিজে ১২৭ রান ও ২ উইকেট নেন রাজা। 

আগামী ৫ আগস্ট থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। সিরিজটি বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ নয়।

স্কোর কার্ড (টস : জিম্বাবুয়ে)

জিম্বাবুয়ে :

চাকাবভা ক আফিফ ব নাসুম ১৭

আরভিন স্টাম্প লিটন ব মাহমুদুল্লাহ ২৪

মাধভেরে বোল্ড ব মাহেদি ৫

রাজা ক মুস্তাফিজ ব মাহেদি ০

উইলিয়ামস ক শান্ত ব মোসাদ্দেক ২

শুম্বা ক আনামুল মুস্তাফিজুর ৪

বার্ল ক লিটন ব হাসান ৫৪

জংওয়ে ক মোসাদ্দেক ব হাসান ৩৫

ইভান্স অপরাজিত ৫

নিয়ুচি অপরাজিত ১

অতিরিক্ত (বা-১, লে বা-৭, ও-১) ৯

মোট (৮ উইকেট, ২০ ওভার) ১৫৬

উইকেট পতন : ১/২৯ (চাকাবভা), ২/৪৫ (মাধভেরে), ৩/৪৫ (রাজা), ৪/৫৪ (উইলিয়ামস), ৫/৫৫ (আরভিন), ৬/৬৭ (শুম্বা), ৭/১৪৬ (জংওয়ে), ৮/১৫০ (বার্ল)।

বোলিং : মুস্তাফিজুর : ৪-০-২২-১, মাহেদি : ৪-১-২৮-২ (ও-১), মোসাদ্দেক : ৪-০-২২-১, নাসুম : ২-০-৪০-১, হাসান : ৪-০-২৮-২, মাহমুদুল্লাহ : ২-০-৮-১।

বাংলাদেশ : 

লিটন ক এন্ড ব নিয়ুচি ১৫

ইমন ক শুম্বা ব নিয়ুচি ২

আনামুল বোল্ড ব মাধভেরে ১৪

শান্ত ক জংওয়ে ব উইলিয়ামস ১৬

মাহমুদুল্লাহ ক চাকাবভা ব ইভান্স ২৭

আফিফ অপরাজিত ৩৯

মোসাদ্দেক ক চাকাবভা ব ইভান্স ০

হাসান ক রাজা ব জংওয়ে ৩

নাসুম অপরাজিত ২

অতিরিক্ত (লে বা-৭, ও-১) ৮

মোট (৮ উইকেট, ১৭.৩ ওভার) ১৪৬

উইকেট পতন : ১/১৩ (লিটন), ২/২৪ (ইমন), ৩/৩৪ (আনামুল), ৪/৬০ (শান্ত), ৫/৯৯ (মাহমুদুল্লাহ), ৬/৯৯ (মোসাদ্দেক), ৭/১৩৩ (মাহেদি), ৮/১৩৯ (হাসান)। 

জিম্বাবুয়ে বোলিং : ইভান্স : ৪-০-২৬-২, নিয়ুচি : ৪-০-২৯-৩, মাধভেরে : ২-০-১৪-১, রাজা : ৪-০-২১-০, মাসারা : ১-০-৫-০, উইলিয়ামস : ২-০-১৬-১, জংওয়ে : ৩-০-২৮-১ (ও-১)। 

ফল : জিম্বাবুয়ে ১০ রানে জয়ী। 

ম্যাচ সেরা : রায়ান বার্ল (জিম্বাবুয়ে)।

সিরিজ সেরা : সিকান্দার রাজা (জিম্বাবুয়ে)।

সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জয়ী জিম্বাবুয়ে।  তথ্য সূত্র বাসস।