News update
  • IAEA Chief Calls for Renewed Commitment to Non-Proliferation     |     
  • UN Aid Chief Warns Humanitarian Work Faces Collapse     |     
  • Arab-Islamic Summit yields limited action over Israeli strike on Doha     |     
  • National Consensus Commission term extended till October 15     |     
  • EU Helping BD prepare for free, fair elections: Envoy Miller     |     

বাংলাদেশের স্বপ্ন মাড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অবিশ্বাস্য জয়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2024-06-11, 12:07am

dsadasd-5676e37338d668578a3686ab581abe0f1718042972.jpg




পুটে বোলিংয়ে লক্ষ্যটা ছিল হাতের নাগালেই। জিততে হলে বাংলাদেশকে পাড়ি দিতে হতো স্রেফ ১১৩ রান। কিন্তু নাসাউতে এই ছোট্ট সমীকরণ মেলাতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্তরা। আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের তিক্ততা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশকে।

ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের জন্য অপেক্ষা বহুদিনের! আগের আট দেখায় একবারও মেলেনি জয়ের হাসি। এবার সেই আক্ষেপ মেটানোর বড় সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। বিশ্ব মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারল ৪ রানের ব্যবধানে। এই নিয়ে টানা তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত করল দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে দুই ম্যাচ খেলা বাংলাদেশ দেখল প্রথম হারের দেখা। 

বিশ্বকাপের ২১তম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১১৩ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে নাসাউর মন্থর উইকেটের চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ থেমে যায় ১০৯ রানে।

১১৩ রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে কাগিসো রাবাদাকে দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দারুণ কিছুর আভাস দেন তানজিদ। কিন্তু না, ওই ওভারেই হন কট বিহাইন্ড। রাবাদার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ৯ রানে থামেন বাংলাদেশি ওপেনার।

এরপর ওয়ানডাউনে তিনে নামা লিটন দাসের ইনিংসও থামে ৯ রানে। সপ্তম ওভারে কেশভ মাহারাজের ডেলিভারিতে মিলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। এরপর উইকেটে আসা সাকিব আল হাসান আজও ব্যর্থ। নরকিয়ার বলে ৩ রানেই তিনি তুলে দেন ক্যাচ।

পজিশন বদলে আজ ওপেনিংয়ে নামেন নাজমুল শান্ত। কিন্তু পজিশন বদলালেও বদলায়নি শান্তর ব্যর্থতার চিত্র। থিতু হয়েও পারলেন না রান তুলতে। ২৩ বলে ১৪ রান করে থামে অধিনায়কের ইনিংস। চার টপ অর্ডারের বিদায়ের পর খানিকটা চাপ বাড়ে বাংলাদেশের। তবে সেই চাপটা সামলে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক হয়ে ওঠেন তাওহিদ হৃদয়। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি গড়ে আবারও বাংলাদেশের ভাগ্য গড়ে দিলেন তিনি। পঞ্চম উইকেটে ৪৫ রানের জুটিতে জয়ের রূপকথা প্রায় লিখে ফেলেন হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ। মাঝপথে ৩৭ করে তাওহিদ ফিরে গেলে শেষের ইতিটা আজ আর টানতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ।

এর আগে নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টস ভাগ্য জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে ব্যাটিং বেছে নেন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। কিন্তু দুর্দান্ত বোলিংয়ে সেই সুযোগ মোটেই কাজে লাগাতে দেয়নি বাংলাদেশ।

আগের ম্যাচের মতো আজও বাংলাদেশের বোলিং ওপেন করেন তানজিম সাকিব। ডট দিয়ে শুরু করা তানজিম পরের দুই বলেই হজম করেন ছক্কা-চার। পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে রেজা হেনড্রিকসকে স্ট্রাইক দেন কুইন্টন ডি কক। রেজাকে পেয়েই তানজিমের বাজিমাত। এলবির ফাঁদে ফেলে রেজাকে মাঠছাড়া করেন তরুণ এই পেসার।

নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও তানজিমের আঘাত। এবার ফেরালেন কুইনিকে। তানজিমের রাউন্ড দ্য উইকেটের বল খেলতে গিয়ে অনসাইডে খেলার চেষ্টায় বোল্ড হন ডি কক। ১৮ রানে থামে প্রোটিয়া ওপেনারের ইনিংস।

পরের ওভারে উইকেট উৎসবে যোগ দেন তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের পিচ করা বল ড্রাইভ করতে স্টাম্প হন এইডেন মার্করাম। পরের ওভারে আক্রমণে এসে আবারও তানজিমের উইকেট উৎসব। এবার তার ফাঁদে পা স্টার্বস। তানজিমের বলে আলতো করে ব্যাট ছুঁয়ে দিয়ে কাভারে পাঠান স্টার্বস। সেখানে থাকা সাকিব আল হাসান সহজ ক্যাচ লুফে নিয়ে মাতেন উল্লাসে।

২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ২৫ রান রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এই চাপ সামলাতে উইকেটে জমাট বাধেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেবিড মিলার। হতাশা কাটিয়ে এই জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা দেখে আশার আলো! ৭৯ বলে ৭৯ রানের জুটিতে লড়াই করার আভাস দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু তাসকিন এসে ক্লাসেনকে ৪৬ রানে বিদায় করলে শেষ হয়ে যায় বড় রানের আশা। এরপর রিশাদ এসে ভাঙেন মিলারের প্রতিরোধ। ২৯ রান করে তিনিও ফেরেন বোল্ড হয়ে। দুই সেট ব্যাটার ফেরার পর শেষ পর্যন্ত ১১৩ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বল হাতে ১৮ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন তানজিম সাকিব। ১৯ রান খরচায় তাসকিনের শিকার দুটি। ৩২ রান দেওয়া রিশাদ নিয়েছেন এক উইকেট। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও উইকেটহীন মুস্তাফিজুর রহমান। এনটিভি