Extended meeting of Muslim League Working Committee held on Saturday.
ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচন দুটি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলে চরম বিতর্কিত, অগ্রহণযোগ্য ও প্রশ্নবিদ্ধ। বিরোধী দলগুলোর বিভিন্ন সভা-সমাবেশে লক্ষ-লক্ষ জনগণ উপস্থিত হয়ে সমর্থন করছে যে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। অধিকাংশ বিরোধী দলের, সংসদ ভেঙে দিয়ে -নিরপেক্ষ নির্বাচন কালীন সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবীকে ধারাবাহিকভাবে অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করে ক্ষমতাসীনরা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে দেশকে অস্থিতিশীল, সংঘাতময় ও চরম অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সংকট সমাধানের পথে না গিয়ে ‘খেলা হবে -খেলা হবে’ বলে উস্কানি দিয়ে সংঘাতকে তারা বরং অনিবার্য করে তুলছেন। জনগণ সংঘাত চায় না। মুসলিম লীগ ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের সাথে অনুষ্ঠিত সংলাপে ‘একাধিকবার সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দল থেকে প্রতিনিধি নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা’ প্রণয়নের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, নির্বাচন কালীন সরকার বিষয়ে আলোচনার সুনির্দিষ্ট এজেন্ডায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অর্থবহ সংলাপ আহ্বান সংঘাত এড়ানোর একমাত্র পথ হতে পারে বলে মনে করে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।
আজ (১৯ নভেম্বর, ২০২২) পল্টনস্থ ফেনী সমিতি মিলনায়তনে বেলা দশটায় দলীয় সভাপতি এ্যাড. বদরুদ্দোজা সুজার সভাপতিত্বে উপমহাদেশের প্রাচীনতম দল বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ওয়ার্কিং কমিটির এক বর্ধিত সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ছাড়াও সভায় সারাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দলে নতুন যোগ দেয়া শতাধিক নতুন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। আরো বক্তব্য রাখেন মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, ওয়াজির আলী মোড়ল, অতি মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান ও কাজী কাফী, কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম, শেখ এ কাইয়ূম, এ্যাড. আফতাব হোসেন মোল্লা, ব্যরিষ্টার শফিকুল ইসলাম, শেখ এ সবুর, খান আসাদ, অধ্যাপক জাকির হোসেন. এসএম ইসলাম আলী, এ.এ সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, ডা. হাজেরা বেগম, অধ্যাপক আব্দুল হালিম প্রমুখ। সাংগঠনিক আলোচনায় আগামী মার্চের মধ্যে সকল জেলা কমিটি পুনর্গঠন ও জুন মাসের মধ্যে কাউন্সিল অধিবেশন সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সংবাদ প্রেরক - কাজী এ.এ কাফী, অতি: মহাসচিব - ০১৮১৭০১৪৪৪০