News update
  • Trump Pauses Tariffs on Mexico and Canada After Agreements     |     
  • The Road to and from Wuhan: Trump Threat to Global Health?     |     
  • CA asks for a ‘command centre’ to monitor law and order     |     
  • Traffic rule violations aggravating Dhaka’s gridlock     |     
  • Official Statement On the situation in Jenin camp: UNRWA     |     

ভুমধ্যসাগরে নিহত ২৩ জনের ১০ জনই রাজৈরের, ঘরে ঘরে শোক

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক Nation 2025-02-04, 7:40am

madaripur_news_pic-fb34e06621770d1ab87a8f9085646b581738633206.jpg




অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার সময় ভুমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত ২৩ জনের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় মিলেছে। তাঁদের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে মৃত্যুর খবর এলে নিহতদের পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। তাই ঘরে ঘরে চলছে শোকের মাতম।

এই ঘটনায় জড়িত দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

পুলিশ বলছে, এ ব্যাপারে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা। আর মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। 

জানা গেছে, দালালদের খপ্পড়ে পড়ে গত পহেলা জানুয়ারি ইতালির উদ্দেশে বাড়ি ছাড়েন রাজৈর পৌরসভার পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের চা বিক্রেতা হাসান হাওলাদারের ছেলে টিটু হাওলাদার। তাঁর সঙ্গে মামা গোবিন্দপুরের বাসিন্দা আবুল বাশার আকনও যোগ দেন। গত ২৪ জানুয়ারি লিবিয়া থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ইতালি উদ্দেশে যাত্রা করেন তাঁরা। মাঝপথে ভুমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারান মামা আবুল বাশার ও তার ভাগ্নে টিটু।

নিহতদের মধ্যে আরও রয়েছেন গোবিন্দপুরের ইনসান শেখ, শাখারপাড়ের সজিব মোল্লা, সাদবাড়িয়ার রাজীব, সুন্দিকুড়ির সাগর বিশ্বাস, আশীষ কীর্তনীয়া, সাগর বাড়ৈ ও বৌলগ্রামের অনুপ সরদার।

এই ঘটনায় মূলহোতা রাজৈর হরিদাসদি গ্রামের স্বপন মাতুব্বর, মজুমদারকান্দি গ্রামের মনির হাওলাদার ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলীপুরের রফিক দালাল।

এই ঘটনায় জড়িত দালালদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পাশাপাশি মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।

নিহত টিটু হাওলাদারের বাবা হাসান হাওলাদার বলেন, আমি সামান্য চা দোকানি। আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমার ছেলেকে ইতালি নেওয়ার জন্য টাকা নেয়। এখন শুনি ছেলে মারা গেছে। আমি দালালের বিচার চাই।

নিহত আবুল বাসার আকনের ভাই বাচ্চু আকন বলেন, দালালরে টাকা দিয়ে আমরা সর্বস্বান্ত। এখন আমার ভাইয়ের মরদেহ ফেরত চাই।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মোহাম্মদ সজীব বলেন, ‘নিহত ১০ জনের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দূতাবাসের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান ঘটনারা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।