Grapes are sour
নিউজ ডেস্ক
বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের একাংশ ২০ দলীয় জোটের আন্দোলন গড়ে তোলার ব্যর্থতার কথা বলে সুশাসন ও মানবাধিকারের সম্পূর্ণ বা ̄স্তবায়নের লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক বাম প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ডাক দিয়েছে।সাম্যবাদী দলের এই অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পলিটব্যুরো সদস্য কাজী মোস্তফা কামাল।
জানা গেছে বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোটের মধ্যে মতবিরোধের জের ধরে এই নয়া মেরুকরণের প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টরা আন্দোলনে ব্যর্থতার জন্য নেতৃত্বের আপষকামিতা ও দৃড়তার অভাবকে দায়ী করতে চায়। নয়া এই মেরুকরনের সময় ও সাময়িকতা লক্ষ্যনীয়। আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদ শেষ হবে এবং সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নয়া মেরুকরনের সমর্থনে দেয়া সাম্যবাদী দলের একাংশের বিবৃতি নিম্নরূপঃ
‘আমরা বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই জনগণের অধিকারের কথা বলে আসছি এবং সে লক্ষ্যে বিভিন্ন পথে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। আজ দেশের এই দুর্বিসহ অবস্থা থেকে জাতীকে মুক্ত করতে আমাদের চেষ্টার বিরাম নেই। আমরা ২০১৬ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোটের সাথে যুক্ত হয়ে ২০ দলীয় জোট তৈরি করি। আমাদের আশাছিল এই জোট জাতিকে একটি সঠিক পথে পরিচালিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কিšদ আমাদের আশা গুরেবালি হয়েছে। এমনকি ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে সঠিক আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। এমন অবস্থায় আমরা মনে করি নয়া মেরুকরনের দিকে এগুতে হবে।
‘৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা একদিকে চলে গিয়েছে কিছু লুটেরাদের হাতে যারা ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করছে। আর ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে বিদেশিদের সাথে দেশের ̄স্বার্থবিরোধী নানান চুক্তি করছে। দেশের খনিজ সম্পদ নদীপথ ও সড়ক ব ̈বহার সহ নানা অসম চুক্তি করছে। শুধু তাহাই নয় আমাদের দেশে আমরা কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর করতে চেয়েছিলাম অন্যদেশ বাধা দিয়েছে, যে বন্দর নির্মাণ হলে কমপক্ষে কয়েক লাখ মানুষের কর্মসং ̄স্থানের ব্যবস্থা হতো এবং আমাদের কয়েক হাজার কোটি টাকার রেভিনিউ আসতো।
‘আমাদের করতে দেওয়া হয়নি, তিস্তা মেঘা প্রকল্প, যে প্রকল্প নির্মান হলে উত্তর বঙ্গের প্রায় ৬ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া যেত এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি হতো। অপরদিকে বিরোধী দল ও মতের নেতা কর্মীদের খুন-গুম ও জেলে পুরে জনগণের আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিচ্ছে, এই ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান জনগণ অবশ্যই চায়। কিন্তু আজ প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে এই অপশাসনের অবসানের পর ক্ষমতায় কারা আসবে?
প্রিয় দেশবাসী,
‘স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের শেষ টানা হয়েছিল একটি গণভ্যূত্থানের মাধ্যমে, উদ্দেশ্য ছিল একটি গণতান্ত্রিক শাসন এবং সুশাসন- তা হয়নি। ২০১৪ সালের পর থেকে দেশের মাথায় বসে আছে একটি অগনতান্ত্রিক সরকার যারা বিনা ভোটে এবং রাতের আঁধারে সিল মেরে নিজেদেরকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। যা এখন ফ্যাসিবাদী শাসনে রুপ নিয়েছে।
আজ জনগন ঐ ধরনের শাসন আর চায় না, জনগন চায় সুশাসন মানবাধিকারের সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন। সেই লক্ষ্য অর্জন করতে আজ প্রয়োজন দেশপ্রেমিক বাম প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য, যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করবে সুশাসন ও মানবাধিকারের সম্পূর্ণ বা ̄স্তবায়ন’। - প্রেসবিজ্ঞপ্তি
কাজী মো ̄স্তফা কামাল, আহ্বায়ক, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল) পুনর্গঠন প্রক্রিয়া - ০১৮৩১১৫৫৮৯২, ০১৭৫৮৩০৮৮৯৪