চলছে চৈত্রের খরতাপ প্রচন্ড তাপদাহ।এরমধ্যেই সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত।বাড়ছে পিপাসা। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের চাই ডাব । কিন্তু গ্রাম বাংলার অতি সহজলভ্য এ ডাবের মূল্য এখন আকাশ ছোঁয়া৷
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় এক একটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকা দরে। ডাবের দাম বাড়ায় মানুষের মাঝে ক্ষোভ থাকলেও কিছু বলার নেই। ফলে স্বাদ থাকলেও অনেকেই পান করতে পারছেনা ডাবের পানি।
জানা গেছে, জেলাজুড়ে ডাবের আবাদ হয়।গ্রামে গ্রামে ঘুরে মাত্র ২০-২৫ টাকায় কেনা ডাব খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়৷রমজান ও গ্রীষ্মের তীব্র গরমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। রমজানে প্রতিদিনের ইফতারে অনেকেই ডাবের পানি রাখায় বেড়েছে চাহিদা। তাই নির্বিঘ্নেনেই মানুষকে জিম্মি করে পকেটে ভারি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
মহেশপুরের ডাব ব্যবসায়ী আতিয়ার বলেন, প্রচুর চাহিদা থাকায় এমনটা হচ্ছে।
পৌর শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস ডাবের দাম ৭০-৮০ টাকা। সাইজ অনুপাতে আবার কোথাও কোথাও ৯০-১০০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। একটি ডাবের মূল্য যেন সেঞ্চুরী করেছে।যা অন্যবারের তুলনায় রেকর্ড গড়েছে।এরমধ্যে ছোট সাইজ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, মাঝারি সাইজ ৮০ আর বড় ৯০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে । তবে সরকারি হাসপাতালের সামনে বড় সাইজের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
মহেশপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন বলেন, তরমুজের পর এবার ডাব।পাইকারি দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে এদুটি পণ্যই বিক্রি করছে খুচরা বিক্রেতারা।দুটি ক্ষেত্রেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।একই সঙ্গে গড়ে তুলছেন শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এখনই এই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে না দিলে আগামীর দিনের জন্য ভয়ংকর হবে।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন,বাজার দর নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানোসহ নানাউদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।তরমুজের বাজারে এরইমধ্যে অভিযান হয়েছে।এখন থেকে ডাবসহ অন্য মৌসুমী ফলের ক্ষেত্রেও একইভাবে অভিযান চলবে।