১৯৮০–এর দশকে দখলদার সোভিয়েত সেনাদের বিরুদ্ধে ধর্মযোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করেন হুসেইন আন্দারিয়াস। সোভিয়েত সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগ করার এক বছর পর খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হন তিনি। এরপর টানা নয় বছর আন্দারিয়াস আঞ্চলিক কয়েকটি দেশ ঘুরতে থাকেন ও নির্যাতনের শিকার হন। সবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় একটি গির্জায় তাকে চাকরি দেওয়া হয়। ফলশ্রুতিতে আমেরিকায় পাড়ি জমান তিনি।
আন্দারিয়াস বলেন, গির্জাগামী অনেক আফগান গত বছর তালিবান ক্ষমতা দখলের পর যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন গ্রহণ করেন।
গত মাসে, ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে তালিবান ডি ফ্যাক্টো সরকারকে “বিশেষ উদ্বেগের দেশ” হিসেবে অভিহিত করার আহ্বান জানায়। এই আখ্যার কারণে তালিবান কর্মকর্তাদের আরও আর্থিক এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হবে।
বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত হিসাব মতে, আফগানিস্তানের ৩৮ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে ৮৫ শতাংশের বেশি সুন্নি মুসলমান। প্রায় ১২ শতাংশ শিয়া মুসলমান। এ ছাড়া স্বল্পসংখ্যক অন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু যেমন; শিখ, হিন্দু ও অন্য সম্প্রদায়ের লোক রয়েছে।
শিয়া, শিখ ও হিন্দুদের ওপর ইসলামিক স্টেটের খোরাসান শাখার পদ্ধতিগত হামলা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান কনসার্ন (আইসিসি) বলছে, আফগান খ্রিস্টানরা বিশেষভাবে হুমকির মধ্যে রয়েছে।
তালিবান কর্মকর্তাদের কাছে আফগান খ্রিস্টানদের সরিয়ে নেওয়ার আলোচনা তোলাও ঝামেলাপূর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
একজন তালিবান মুখপাত্র ইনামুল্লাহ সামাঙ্গানি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, “আফগানিস্তানে কোনো খ্রিস্টান নেই। খ্রিস্টান সংখ্যালঘুদের কথা কেউ জানে না বা তারা নিবন্ধিত হয়নি”।
তিনি আরও বলেন, “আফগানিস্তানে শুধুমাত্র শিখ ও হিন্দু ধর্মীয় সংখ্যালঘু রয়েছে, যারা সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং নিরাপদভাবে ধর্ম পালন করতে পারেন”। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।