News update
  • Climate Crisis Fuels Hunger, Migration, and Global Instability     |     
  • Trump, Putin to Meet in Budapest After ‘Productive’ Call     |     
  • Dhaka stocks end week flat; Chattogram extends losses     |     
  • Torch rallies in 5 northern dists for Teesta Master Plan execution     |     
  • Go live together Friday, we stand united: Prof Yunus urges media      |     

ঘূর্ণিঝড়ে চাঁদপুরে রোপা আমনসহ ৬১০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি

গ্রীণওয়াচ ডেক্স খাদ্য 2023-11-19, 8:46am

image-115009-1700320824-5f13075279ce395f9feb77e53d2929fb1700362019.jpg




ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র কারনে জেলার ১৯০ হেক্টর আধাপাকা ও পাকা আমন ধান এবং অন্যান্য ৪২০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আজ  জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় থেকে জানানো হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে- জেলা সদরের বাগাদী ইউনিয়নের ছোবহানপুর, বাগাদী গ্রাম, নানুপুর, বালিয়া ইউনিয়নের সাপদি, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদি রামপুর ও আশাপাশের এলাকায় গিয়ে আমন ধানের অধিকাংশ জমি পানিতে তলিয়ে থাকতে দেখা গেছে।

ছোবহানপুর ও বাগাদী গ্রামের জমিগুলোতে কৃষকরা পাকা ধান দুদিন আগে কেটে জমিতে শুকানোর জন্য রেখেছেন। সেবসব জমিতে এখন হাটু সমান পানি। অনেক জমির পাকা ও আধাপকা ধান বাতাসে নুয়ে পড়েছে। এসব এলাকার খাল ও নালা ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা নেই। 

ছোবহানপুর মাঠে দুদিন আগে কেটে রাখা ধান পানি থেকে তুলে আনছেন কৃষক মো. হাবিব। তিনি জানান, এ বছর তিনি পৌনে ৩ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। অধিকাংশ জমি এখন পানির নীচে। প্রায় ১লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন কি করবেন তিনি বুঝতে পারছেন না। 

বাগাদী মাঠের কৃষক হাবিব বেপারী ও ওবাদ শেখ জানান, তাদের পুরো মাঠের অধিকাংশ জমির ধান হাটু সমান পানির নীচে। অনেকেই ধান কেটে শুকানোর জন্য দু’তিন দিন আগে রেখেছেন। চিন্তাও করতে পারেননি ঘূর্ণিঝড়ে এমন ক্ষতির সম্মুখিন হবেন।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের কৃষক ছিদ্দিকুর রহমান জানান, সকদিরামপুর মাঠে তার দেড় একর জমিতে বিআর-৪৯, বিনা-৭ ও ১৭ ধানের আবাদ করেছেন। আগে কেটে রাখা ধান শ্রমিক নিয়ে তুলছেন। পানিতে ভিজে যাওয়ার কারণে ওজন বেড়ে গেছে। 

ওই এলাকার আরেক কৃষক আব্দুল খালেক বেপারী জানালেন, প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করে এক একর জমিতে বিআর-২২ জাতের ধানের আবাদ করেছেন। এই ধানগুলো উচ্চতায় অনেক বড়। যার ফলে ঘুর্ণিঝড়ে বাতাসের তীব্রতায় সব ধান জমিতে নুয়ে পড়েছে। 

চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী আজ দুপুরে জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে জেলায় আধাপাকা ও পাকা রোপা আমান ১৯০ হেক্টর, সরিষা ১৪০ হেক্টর, আগাম শীতকালীন সব্জি ২৭০ হেক্টর ও বীজতলা (ধান) ১০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন। জরিপ কার্যক্রম শেষ হলে পুরো আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। বাসস।