ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা বুধবার জানান যে, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎকেন্দ্র দখল করে নিয়েছে এবং ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে তিনটি এলাকায় “ব্যাপকভাবে সেনা স্থানান্তর” করছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির এক উপদেষ্টা, ওলেকসি আরেস্টোভিচ পূর্বাঞ্চলের ডনেটস্ক অঞ্চলে অবস্থিত ভুহলেহিরস্ক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখলের খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তবে, আরেস্টোভিচ বলেন সেটি রুশদের জন্য একটি “ক্ষুদ্র কৌশলগত সুবিধা”।
তিনি বলেন, রুশ সৈন্য স্থানান্তরের অংশ হিসেবে রাশিয়া মেলিটোপোল, ঝাপোরিঝিয়া ও খেরসনে বাহিনী মোতায়েন করেছে। এমন পদক্ষেপকে রাশিয়ার কৌশলগত প্রতিরক্ষা প্রচেষ্টার দিকে সরে আসার অংশ বলে মনে হয়েছে।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বৃহস্পতিবার বলে যে, খেরসনে এক পাল্টা আগ্রাসনে ইউক্রেনের বাহিনী গতি সঞ্চার করছে। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে আরম্ভ করা আক্রমণের শুরুর দিনগুলো থেকেই ঐ এলাকা রাশিয়ার দখলে রয়েছে।
মন্ত্রক বলে, “ইউক্রেন তাদের নতুন দূরপাল্লার কামান ব্যবহার করে নিপ্রো নদীর উপর অবস্থিত অন্তত এমন তিনটি সেতুকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যেগুলোর উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় সরবরাহ আনতে রাশিয়া নির্ভর করে।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রাত্যহিক মূল্যায়নটিতে বলা হয় যে, খেরসন শহর “বর্তমানে অন্যান্য দখলকৃত জায়গাগুলো থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে”।
মঙ্গলবার দিনের শেষদিকে ইউক্রেনের বাহিনী নিপ্রো নদীর উপর অবস্থিত অ্যান্টনিভস্কি সেতুতে আঘাত করেছিল।
রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন যে, ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর এলাকা পারাপারে তাদের বাহিনী অন্যান্য পন্থা ব্যবহার করবে। এর মধ্যে পন্টুন সেতু ও ফেরির ব্যবহারও রয়েছে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।