News update
  • Global public debt hits $102 tn, South facing highest burden     |     
  • Attacks on world order, global aid hits progress on poverty     |     
  • Bangladesh, US Begin 3-Day Talks on Tariff and Trade     |     
  • A second Nakba?: UNRWA Commissioner-General on Gaza:     |     
  • Flood force postponement of Cumilla Board HSC exams Thursday     |     

ফেনীতে বন্যায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, গবাদিপশু নিয়ে ছাদে আশ্রয়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2025-07-10, 12:56pm

d46fcc7ab8c4ac7d1542f2b5c96c9f8903362cf1ecf7e28c-8f11b426e048c8334cb8e458b29eef081752130590.png




ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ আনন্দপুর গ্রামে বানের পানি ঢুকে পড়ায় গবাদিপশুসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাশের একটি ভবনের ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন তনিমা সুলতানা। আশ্রয় নেয়া ওই ভবনটি শাহজাহান মজুমদারের দোতলা বাড়ি।

এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ওই ভবনের ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন আরও অন্তত ১০টি পরিবার। শুধু ফুলগাজী নয়, পরশুরাম, ছাগলনাইয়াসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার হাজারো মানুষ একই রকম দুর্ভোগে পড়েছেন। 

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২১টি স্থানে ভাঙনের ফলে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি কিছুটা কমলেও ভাঙন এলাকা দিয়ে পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

বন্যার কারণে বেশ কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্যোগে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার আংশিক এলাকায় ৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৬ হাজার ৮২৬ জন। পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ৯০ জন স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধার ও সহায়তায় কাজ করছে।

আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আলা উদ্দিন বলেন, ‘গত বছরও এমন অবস্থায় প্রতিবেশীর ছাদে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। এবারও একইভাবে জিনিসপত্র নিয়ে ছাদে উঠেছি। পানি এখনো নেমে যায়নি।’

মোতাহার হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এটি আমার মামার বাড়ি। তারা বাইরে থাকলেও মানুষের জন্য ছাদ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। এখানে দশটি পরিবার কষ্ট করে দিন পার করছে।’

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার আংশিক এলাকায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ দুর্যোগে আক্রান্ত হয়েছে। ৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৭ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।’