স্রোত আর ভাঙন, এ যেন পদ্মার রুদ্ররূপ। শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকায় আবারও তাণ্ডব চালাচ্ছে পদ্মা। মুহূর্তেই চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট। দিশেহারা সম্বল হারানো পরিবার, আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ভরসা রাখতে পারছেন না অস্থায়ী বাঁধে, দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
পদ্মা সেতুর পূর্বপাশে মাঝিরঘাট এলাকা থেকে একটু দূরে ধসে পড়েছে কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড বাঁধ। গেল কয়েকদিনের ভাঙনে নদীগর্ভে চলে গেছে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা। পদ্মার আগ্রাসনে বসতভিটা হারিয়েছে ২০টি পরিবার। নিশ্চিহ্ন হয়েছে বেশকিছু দোকানপাটও।
এদিকে, ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এতে কিছুটা ঝুঁকি কমলেও পানি বাড়তে থাকলে তা কতটা কাজে লাগবে এ নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পরিকল্পিত বেড়িবাঁধ থাকায় পদ্মা নদীর এই পাড় ভাঙতে পারে কারও কল্পনাতেও ছিল না। তাই অধিকাংশ বাসিন্দাই কিছু সরাতে পারেননি।
স্বপন সরকার এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না তার সব গিলে নিয়েছে আগ্রাসী পদ্মা। মুহূর্তেই সব ঘটে যাওয়ায় এক কাপড়েই পরিবার নিয়ে ছাড়তে হয়েছে বসতভিটা। অধিকাংশই এখন নদীগর্ভে, বাকি থাকা অংশটা দেখতেই ফিরে আসেন তিনি।
স্বপন বলেন, ‘আমার সব পদ্মা নিয়ে গেল। এখন পরিবার নিয়ে কোথায় যাবো।’
ইমার্জেন্সি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের সিনিয়র সুপারভাইজার মো. হারুন অর রশীদ জানান, ভাঙনের খবর পেয়ে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছেন। ফলে ভাঙন কিছুটা কমেছে। তবে পানি বাড়তে থাকলে ভাঙন বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।