News update
  • UNRWA Situation Report on Crisis in Gaza & Occupied West Bank     |     
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নতুন সম্ভাবনা ‘উলবাকিয়া মশা’

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রোগবালাই 2025-05-11, 7:36am

0d4da77e9cef320eec08adf0636ae955e82edf1b10d45258-9d07387e8b61ffa87d139f7b2f67be0a1746927366.jpg




ডেঙ্গু মোকাবিলায় একটি বড় বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি বাংলাদেশের জন্য নতুন আশার আলো জাগাচ্ছে। আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল এক ধরনের উলবাকিয়াসংক্রমিত এডিস ইজিপ্টি মশা সফলভাবে তৈরি করেছেন। এটি ঢাকা শহরের স্থানীয় পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম। এটিকে ‘ভালো মশা’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।

এই অগ্রগতি বাংলাদেশকে ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত বা আর্বোভাইরাল ভাইরাস সংক্রমণ রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে একটি নিরাপদ, জৈবিক পদ্ধতি ব্যবহারের নতুন দ্বার উন্মোচন করছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআর,বি।

এই গবেষণা দলে রয়েছেন– অস্ট্রেলিয়ার কিউআইএমআর বার্গহোফার মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, আইসিডিডিআর,বি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের বিজ্ঞানীরা। গবেষণাটি সম্প্রতি জার্নাল দ্য নেচারের সায়েন্টিফিক রিপোর্টসে প্রকাশিত হয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আইসিডিডিআর,বি জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশে ডেঙ্গু একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য হুমকি। ২০২৩ সালে রেকর্ড সংখ্যক ৩ লাখ ২১ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয় এবং ১ হাজার ৭০০ এরও বেশি মৃত্যু হয়; যা এখন পর্যন্ত ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বছর। নগরায়ন, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং উষ্ণ তাপমাত্রা ডেঙ্গুর প্রাথমিক বাহক এডিস মশার বিস্তারকে বাড়িয়ে তুলছে। অন্যদিকে প্রচলিত কীটনাশকনির্ভর মশা নিয়ন্ত্রণে মশাদের মধ্যে কীটনাশকের প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় এর কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে।

এ অবস্থায় পৃথিবীব্যাপী বিজ্ঞানীরা আরও টেকসই সমাধান খুঁজতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম ‘ভালো মশা’ ব্যবহারের কৌশল।

যেভাবে কাজ করে উলবাকিয়া মশা

গবেষকদের মতে, উলবাকিয়া ব্যবহারের কারণ হলো, এটি এডিস মশায় ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করে, কিন্তু মানুষ বা পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না। উলবাকিয়া একটি প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া; যা প্রজাপতি, ফলের মাছি এবং কিছু মশার দেহে স্বাভাবিকভাবেই থাকে, কিন্তু এডিস মশায় থাকে না। এই ব্যাকটেরিয়া মানুষ বা প্রাণীকে সংক্রমিত করতে পারে না এবং কামড় বা সংস্পর্শের মাধ্যমেও এটি ছড়ায় না।

গবেষকরা জানান, এডিস মশায় উলবাকিয়া প্রবেশ করিয়ে দুটি কৌশলে মশাবাহিত ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রথমটি হলো দমন কৌশল, যেখানে শুধু পুরুষ উলবাকিয়া মশা বা ভালো মশা পরিবেশে ছাড়া হয়। এই পুরুষরা স্ত্রী মশার সঙ্গে মিলিত হয়, স্ত্রী মশার ডিম ফোটে না; ফলে মশার সংখ্যা কমে যায়।

দ্বিতীয়টি হলো প্রতিস্থাপন কৌশল, যেখানে পুরুষ ও স্ত্রী উভয় ‘ভালো মশা’ ছাড়া হয় এবং উলবাকিয়াআক্রান্ত স্ত্রী মশারা প্রজন্মের পর প্রজন্মে এই ব্যাকটেরিয়া বয়ে বেড়ায় ও ছড়িয়ে দেয়। তারা উলবাকিয়া আক্রান্ত বা আক্রান্ত নয় এমন পুরুষদের সঙ্গে মিলিত হলেও তাদের বংশধর উলবাকিয়া বহন করে এবং এভাবে শেষ পর্যন্ত বন্য মশাদের প্রতিস্থাপন করে। এই দুটি কৌশলই বিভিন্ন দেশে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার উত্তর কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিস্থাপন কৌশল ব্যবহার করে গত এক দশকে ডেঙ্গু রোগ ৯৬ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্রেও মশা কমানোর পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত সফলতা দেখা গেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন। এটি বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এরআগে, ২০২৩ সালে দেশে ডেঙ্গুতে রেকর্ড ১ হাজার ৭০৫ জন প্রাণ হারান। আর ২০১৯ সালে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়। সময়।