News update
  • ‘With Science, We Can Feed the World of 9.7 Billion by 2050′     |     
  • WHO warns of severe disruptions to health services for funding cuts     |     
  • ICJ hears Sudan’s case accusing UAE of ‘complicity in genocide’     |     
  • Bombardment, deprivation and displacement continue in Gaza     |     
  • Aged and Alone: The hidden pains in old age homes     |     

কে ধরবেন হামাসের হাল?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2024-10-20, 8:21am

sinoyyaar-haamaas-a3d5ded067a0dc632ae8c7c0fc58364d1729390874.jpg




সেপ্টেম্বরে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যার দুই মাস পেরোনোর আগেই নতুন কাণ্ডারী ইয়াহিয়া সিনওয়ারকেও হত্যা করেছে ইসরায়েল।

পরপর দুইজন শীর্ষ নেতাকে হারানোর পর সিনওয়ারের উত্তরসূরি কে হচ্ছেন, কে ধরতে যাচ্ছেন হামাসের হাল- এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।

হামাসের দুই কর্মকর্তার বরাতে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গ্রুপের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের উত্তরসূরি  বেছে নিতে অচিরেই আলোচনা শুরু হবে।

কর্মকর্তারা বলছেন, সিনওয়ারের ডেপুটি খলিল আল-হায়া এবং গাজার বাইরে গ্রুপের একজন সবচেয়ে  সিনিয়র কর্মকর্তা শক্তিশালী প্রার্থী হিসাবে বিবেচিত হচ্ছেন।

বর্তমানে কাতারে অবস্থানরত আল-হায়া  ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাস প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তাকে গাজা পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান ও বোঝাপড়ার অধিকারী বলে মনে করা হয়।

খলিল আল-হায়া গত আগস্ট থেকে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি মরহুম সালেহ আল-আরৌরির উত্তরসূরি।

হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিনওয়ারকে ৭ অক্টোবরের হামলার স্থপতি হিসেবে বর্ণনা করে জোর দিয়ে বলেছেন যে তার নিয়োগ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি সাহসী বার্তা ছিল।

এদিকে জুলাই থেকে যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে। অনেকে বিশ্বাস করেন যে সিনওয়ারের নেতৃত্ব যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য বাধা ছিল।

হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, সিনওয়ারকে হত্যা করার পরেও যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির শর্ত বদলায়নি।

হামাস গাজা থেকে ইসরাইলের সৈন্য সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, শত্রুতার অবসান, মানবিক সাহায্য হস্তান্তর এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চল পুনর্গঠনের দাবি অব্যাহত রেখেছে। তবে ইসরায়েল এসব শর্ত স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে হামাসকে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে জোর দিয়েছে।

হামাসকে অস্ত্র ও আত্মসমর্পণের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আহ্বান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে হামাস কর্মকর্তারা প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন,  'আমাদের পক্ষে আত্মসমর্পণ করা অসম্ভব।'

তারা বলেন, 'আমরা আমাদের জনগণের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছি। আমরা আত্মসমর্পণ মেনে নেব না। আমরা শেষ বুলেট ও শেষ সৈনিক পর্যন্ত লড়াই করব, ঠিক সিনওয়ার যেমনটি করেছেন।'

সিনওয়ারের হত্যাকাণ্ড কয়েক দশকের মধ্যে সংগঠনের জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির একটি। হামাসের ১৯৯০-এর দশক থেকে নেতৃত্ব হারানোর ইতিহাস রয়েছে।

ইসরাইল হামাসের বেশিরভাগ নেতা ও প্রতিষ্ঠাতাকে হত্যা করতে সফল হলেও হামাসের নতুন নেতা খুঁজে বের করার সক্ষমতা বেশ  ভালোভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

এই সংকটের মধ্যে গাজায় বন্দী ইসরাইলি জিম্মিদের ভাগ্য এবং তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দায় কার ওপর বর্তাবে হবে সে সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি হামাসের অবশিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন এবং গাজার হামাসের  ভবিষ্যৎ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ফক্স নিউজ একাধিক ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানিয়েছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে বুধবার নিহত হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের পরবর্তী প্রধান হতে পারেন।

মোহাম্মদ সিনওয়ার তার ভাই ইয়াহিয়া সিনওয়ারের চেয়ে ১৩ বছরের ছোট। তিনি ১৯৭৫ সালে খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পরে বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল। এদিকে, হামাস যখন এই সংকটময় মুহূর্ত পার করছে, তখনও গাজায় যুদ্ধ চলছে।

শনিবার উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বেশ কয়েকজন লোক নিহত হয়েছে। তথ্য সূত্র বাসস।