হামাসকে পরাজিত করার জন্য আগামী দিনগুলোতে পূর্ণশক্তি নিয়ে সেনাবাহিনী গাজায় প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
সোমবরা (১২ মে) রাতে আহত সেনাদের সঙ্গে দেখা করার পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী গাজায় হামলা জোরদারের এই হুঁশিয়ারি দেন।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অতি শিগগিরই’ গাজা উপত্যকায় পূর্ণশক্তি নিয়ে সামরিক অভিযান চালানো হবে। আমরা অপারেশন সম্পূর্ণ (শেষ) করতে যাচ্ছি। এর অর্থ হলো হামাসকে পরাজিত করা, ধ্বংস করা।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হতে পারে হামাস বলবে থাম, আমরা আরও ১০ জিম্মি মুক্তি দিতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এ যুদ্ধ থেমে যাবে এমন কোনো পরিস্থিতি হবে না। অস্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতি হতে পারে, কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত যাব।’
গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে নেতানিয়াহু বলেন,
সরকার গাজার জনসংখ্যার স্থানান্তর পরিকল্পনা তদারকি করার জন্য একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু একটি সমস্যা আছে, গাজার বাসিন্দাদের গ্রহণ করতে ইচ্ছুক দেশগুলো আমাদের প্রয়োজন। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি।
এরমধ্যেই হামাসের কাছে থাকা বাকি জিম্মিদের মুক্তির জন্য মঙ্গলবার কাতারে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ইসরাইল। মার্কিন-ইসরাইলি জিম্মি ইডান আলেক্সান্ডারের মুক্তির পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, ‘হামাস যদি আরও জিম্মিকে মুক্তি না দেয় তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গাজায় হামলা অব্যাহত থাকবে। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের গাজার নিয়ন্ত্রণ ছাড়ার বিষয়ে কোনো আলোচনায় যেতে রাজি নয় তারা।’
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের সময় চুক্তির সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইডান আলেক্সান্ডারের মুক্তি ও ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি নতুন শান্তি আলোচনার পথ খুলতে পারে।