News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

শীতের সকালে খালি পেটে কিশমিশ খেলেই ম্যাজিক!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক স্বাস্থ্য 2024-12-14, 7:01pm

wewwtw-1b5fbdb5c26117bbd840db590f870c7e1734181285.jpg




কুয়াশা ঘেরা শীতের সকালে শুষ্ক আর ঠান্ডা আবহাওয়ায় নাজেহাল হয়ে পড়ছেন? তাহলে দিনের শুরুটা করতে পারেন কিশমিশ দিয়েই। পুষ্টিবিদরা বলছেন, শুকনো এ ফলটিই ত্বকের শুষ্কতা ঘোচাতে দারুণ কাজ করে।

‘স্বর্গীয় ফল’ এর সঙ্গে তুলনা করতে পারেন কিশমিশকে। কারণ মিষ্টি এ শুকনো ফলটিতে আছে বিশেষ কিছু জাদুকরী গুণ বা উপকারিতা, যা বদলে দিতে পারে আপনার জীবনকে।

রেইজিনের বাংলা প্রতিশব্দ হলো কিশমিশ। এটি তৈরি হয় শুকনো আঙুর থেকে। জীবন বদলে নিতে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই খাবার আজ থেকেই নিয়মতি খেতে শুরু করতে পারেন। কেন জানেন?

পুষ্টিবিদরা বলছেন, কালো, সোনালি ও বাদামি রঙের চুপসানো ভাঁজ হওয়া ফলটি খুবই শক্তিদায়ক। এটি তৈরি করা হয় সূর্যের তাপে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রায় ঝামেলা তৈরি করে না। এটি খেলে শরীরের রক্ত দ্রুত বৃদ্ধি পায়, পিত্ত ও বায়ুর সমস্যা দূর হয়। এটি হৃৎপিণ্ডের জন্যও অনেক উপকারী।

রাান্নায় এই খাবারটি ব্যবহৃত হলেও প্রতিদিন ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। নিয়মিত ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাসেও আপনি এর অনেক সুফল পাবেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত হওয়া এক প্রতিবেদন থেকে আসুন জেনে নেই কিশমিশের কিছু জাদুকরী গুণের কথা।

১। ওজন নিয়ন্ত্রণ: কিশমিশ প্রাকৃতিক শর্করা সমৃদ্ধ এবং শরীরে বাড়তি ক্যালরি যোগ করা ছাড়াই ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে এটি।

২। রক্তস্বল্পতা দূর: প্রচুর পরিমাণে লৌহ ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ কিশমিশ রক্তস্বল্পতা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা কপার রক্তের লোহিত কণার পরিমাণ বাড়ায়।

৩। হজমে সহায়তা: কিশমিশ আঁশ সমৃদ্ধ তাই পানিতে ভিজিয়ে রাখার কারণে এটা প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে। ভেজানো কিশমিশ হজমের সমস্যা উন্নত করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে।

৪। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: কিশমিশ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, যা শরীরের লবণাক্ততার ভারসাম্য বজায় রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট খাদ্যাশেরও ভালো উৎস যা রক্তনালির জৈব রসায়নে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। ফলে রক্তচাপ হ্রাস পেতে পারে।

৫। হাড়ের সুরক্ষা: বোরন হাড় গঠনের জন্য প্রয়োজন, যা কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে থাকে। এতে আরও রয়েছে ক্যালসিয়াম ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট। প্রতিদিন ভেজা কিশমিশ খাওয়া হাড় সুস্থ ও সুদৃঢ় রাখতে সাহায্য করে।

৬। মুখের দুর্গন্ধ দূর: কিশমিশে আছে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ও দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।

৭। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি: কিশমিশ ভিটামিন বি এবং সি সমৃদ্ধ। তাই এই শুকনো ফলটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং সম্ভাব্য সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। এর প্রদাহনাশক উপাদান জ্বর, সংক্রমণ ও অন্যান্য দুর্বলতা থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

 ৮। শক্তি জোগায়: কিশমিশে থাকা প্রাকৃতিক গ্লুকোজ কর্মশক্তি বাড়ায়। পরিমিত কিশমিশ খাওয়া দুর্বলভাব কমায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৯। অন্ধত্ব ও কোলেস্ট্রেরল দূর: কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। কিশমিশের দ্রবণীয় ফাইবার লিভার থেকে কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে।

১০। অনিদ্রা: কিশমিশে রয়েছে প্রচুর আয়রন, যা মানুষের অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে সহায়ক। তাই প্রতিদিনই সকালে খালি পেটে ২টি করে কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

১১। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি: কিশমিশে থাকা ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা শিশুদের জন্য বিশেষ উপকারী।

১২। মনোযোগ ও বুদ্ধির বিকাশ: শিশুদের বুদ্ধির বিকাশে দারুণ কাজ করে কিশমিশ। এতে থাকা উপকারী উপাদান বোরন যেকোনো কাজে মনোযোগী হতে সাহায্য করে।

১৩। মানসিক প্রশান্তি: কিশমিশে থাকা আয়রন গভীর ঘুমের জন্য বিশেষ উপকারী। তা ছাড়া নিয়মিত কিশমিশ খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে অবসাদ দূর হতে পারে, যা মানসিক প্রশান্তি আনতে দারুণ কাজ করে।

১৪। ত্বকের যত্ন: কিশমিশ মিনারেল, ভিটামিন সি, ই আর কোলাজেন উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ভিটামিন বি৬, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম এবং কপারের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে কিশমিশে। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। যে কারণে শীতেও ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে ফলটি। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকেও বাঁচায়। তাই নিয়মিত সকালে কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাসে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও বলিরেখা মুক্ত। সময় সংবাদ