News update
  • UNRWA Report on the Humanitarian Crisis in Gaza & West Bank     |     
  • Rail link with Khulna cut off as train derails in Chuadanga     |     
  • 3 killed, 10 injured in Pabna Bus-truck collision     |     
  • UN Chief Appalled as Gaza Crisis Deepens, Aid Blocked     |     
  • Dhaka’s air quality ‘moderate’ also on Friday morning     |     

রোমাঞ্চকর ম্যাচে পাকিস্তানকে কাঁদিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2023-09-15, 6:40am

images-4-888bd51390919686a38ec8daa65e62d81694738402.jpeg




বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে পাকিস্তানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শেষ দুই ওভারে গিয়ে লড়াইটা বেশ জমিয়ে তোলে পাকিস্তান। রোমাঞ্চকর ম্যাচে লঙ্কানদের থেকে জয় প্রায় কেড়েই নিচ্ছিল বাবর আজমরা। কিন্তু তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন চারিথ আসালাঙ্কা। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে তার জয়সূচক ২ রানে টানা দ্বিতীয়বার এশিয়া কাপের ফাইনালে পা রাখল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটিতে নির্ধারিত ৪২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। এরপর বৃষ্টি আইনে ২৫২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে কুশল মেন্ডিসের ফিফটির পর চারিথ আসালাঙ্কার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচের শেষ বলে ২ উইকেটের নাটকীয় জয় তুলে নেয় লঙ্কানরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার কিছুটা ধীরে শুরু করেন। কিন্তু পঞ্চম ওভারে লঙ্কান পেসার প্রমোদ মাধুসনের বলে বিদায় নেন ফখর জামান। বিদায়ের আগে ১১ বলে ৪ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

এরপর অধিনায়ক বাবর ও শফিকের পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। কিন্তু এদিন সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি বাবর। দুনিথ ওলালাগের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন পাক অধিনায়ক। দলীয় ৭৩ রানের মাথায় ৩৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৯ রান করে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

বাবর ফিরলেও ওপেনার ইমাম-উল-হকের বদলি হিসেবে দলে সুযোগ পেয়ে দারুণভাবে কাজে লাগান আব্দুল্লাহ শফিক। চতুর্থ ম্যাচে এসে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিও তুলে নেন তিনি। কিন্তু ফিফটির পর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। ফলে ৬৯ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫২ রানে থামে তার ইনিংস।

দলীয় একশ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো পাকিস্তান ১৩০ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায়। তরুণ মোহাম্মদ হারিস ৯ বলে মাত্র ৩ রান করেন। এরপর আরেক ব্যাটার মোহাম্মদ নওয়াজও থিতু হতে পারেননি। ১২ বলে ১২ রান করে ফেরেন তিনি। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদ দলের হাল ধরেন।

তারা দুজনে মিলে ১০৯ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াকু পুঁজির ভিত গড়ে দেন। রিজওয়ান ক্যারিয়ারের ১২তম ফিফটি তুলে নিলেও দ্রুত রান তোলার তাড়ায় বিদায় নেন ইফতিখার। ৪০ বলের ইনিংসে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪৭ রান করেন তিনি। ইনিংসের শেষ শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে ২৫২ রান পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান রিজওয়ান। করেন ৭৩ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৮৬ রান।

শ্রীলঙ্কার হয়ে বোলিংয়ে মাথিশা পাথিরানা সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন। ২টি উইকেট পান আরেক পেসার প্রমদ মাধুশন। এছাড়া একটি করে উইকেট পান মাহেস থিকসেনা ও দুনিথ ওলালেগা।

পাকিস্তানের দেওয়া ২৫২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন কুশল পেরেরা। কিন্তু চতুর্থ ওভারে শাদাব খানের দারুণ থ্রোতে রানআউটে কাঁটা পড়েন তিনি। বিদায়ের আগে ৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ১৭ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

এরপর পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসের জুটিতে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এই দুই ব্যাটার দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু ১৪তম ওভারে শাদাব খানের বলে চড়াও হতে গিয়ে এই লেগির হাতেই ক্যাচ দিয়ে দেন নিশাঙ্কা। বিদায়ের আগে ৪৪ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৯ রান করেন তিনি।

নিশাঙ্কাকে হারানোর পর ব্যাটিংয়ে আসেন সাদেরা সামারাবিক্রমা। মেন্ডিসের সাথে মিলে ১০০ রানের জুটি গড়েন তিনি। তাদের জুটিতে সহজ জয়ের পথে বেশ এগিয়ে গিয়েছিল লঙ্কানরা। কিন্তু সামারাবিক্রমা ৫১ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৪৮ রান করে বিদায় নিলে আবারও ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা।

এরপর দলীয় ২১০ রানের মাথায় বিদায় নেন কুশল মেন্ডিস। ইফতিখার আহমেদের বলে মিড অফে দারুণ এক ক্যাচ নেন হারিস। এতে ৮৭ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৯১ রানে থামে এই ব্যাটারের ইনিংস। এরপর অধিনায়ক দাসুন শানাকার উইকেট দ্রুত তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে পাকিস্তান।

৪১তম ওভারে পর পর দুই বলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও দুনিথ ওলালেগার উইকেট তুলে নেন শাহিন আফ্রিদি। ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার পড়ে ৮ রান, সহজ করে বললে ২ বলে ৬ রান। চারিথ আসালাঙ্কা প্রথম বলে বাউন্ডারি মারার পরের বলে দুই রান নিলে লঙ্কানদের জয় পেতে সমস্যা হয়নি।

তার ৪৯ রানের ইনিংসে টানা দ্বিতীয়বার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল লঙ্কানরা। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ভারতের মুখোমুখি হবে স্বাগতিকরা।

পাকিস্তানের হয়ে বোলিংয়ে ইফতিখার আহমেদ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া শাহিন আফ্রিদি ২ টি ও শাদাব খান পান ১ উইকেট। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।