News update
  • ‘With Science, We Can Feed the World of 9.7 Billion by 2050′     |     
  • WHO warns of severe disruptions to health services for funding cuts     |     
  • ICJ hears Sudan’s case accusing UAE of ‘complicity in genocide’     |     
  • Bombardment, deprivation and displacement continue in Gaza     |     
  • Aged and Alone: The hidden pains in old age homes     |     

সীমান্তে দুর্নীতির কারণে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-12-22, 5:30pm

img_20241222_172405-4c010e18b21739f6f0ab57ee32e9879d1734867008.jpg




বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দুর্নীতির কারণে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে বলে মন্তব্য করেছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দুর্নীতির কারণে স্থল, জলসীমাসহ সীমান্তের নানা রুট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আটকানো খুব কঠিন হচ্ছে।

‘গত দুই মাসে বাংলাদেশে নতুন করে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটেছে’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আর কোনো রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দেব না এমন নীতিগতভাবে অবস্থান থাকলেও পরিস্থিতির কারণে কিছু করার ছিল না। ফলে সরকার ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দিয়েছে। তবে তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারা বিভিন্ন পথে ঢুকেছে।

তিনি বলেন, আমাদের সীমান্তে প্রচুর দুর্নীতি আছে। এতে প্রচুর রোহিঙ্গা ঢুকে যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে, এটা আটকানো খুব কঠিন হচ্ছে। তবে আর একটি ঢল আসবে বলে আমি মনে করি না। যদিও অনেকে আশঙ্কা করছেন। এই আশঙ্কা আমাদেরও আছে। তবে সেই ঢলকে আটকানোর ব্যবস্থা করতে হবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়েই।

তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ৫ বছর পর যেসব তরুণ রোহিঙ্গার বয়স ২০ বছর হবে, তারা বেপরোয়া হয়ে উঠবে। তখন আমাদের সমস্যা বেশি হবে ঠিকই, তবে সেই সমস্যা প্রত্যেকেরই হবে। এর মধ্যেই নৌকায় রোহিঙ্গারা অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত পৌঁছে গেছেন।

এ সময় সদ্য সমাপ্ত ব্যাংকক সফর নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, থান সোয়ে বলেছি মিয়ানমার সীমান্তে তো তোমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। সীমান্ত তো রাষ্ট্রবহির্ভূত শক্তির (নন–স্টেট অ্যাক্টর) নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। রাষ্ট্র হিসেবে তো আমরা নন–স্টেট অ্যাক্টরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি না। কাজেই তাদের দেখতে হবে কোন পদ্ধতিতে সীমান্ত ও রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হবে।

তিনি জানান, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী স্ক্যাম সেন্টারের অনেকটি চীন নষ্ট করে দিয়েছে। এখন স্ক্যাম সেন্টারগুলো মূলত থাইল্যান্ড ও লাওসের সীমান্তে আছে। এসব সেন্টারে অনেক বাঙালি আটকে পড়েছেন। সবাই যে পাচারের মাধ্যমে গেছেন, তা কিন্তু নয়। অনেকেই লোভে পড়ে সেখানে গেছেন।

থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়াম্পংসার সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার ব্যাংককে ছয় দেশের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সোয়ে।আরটিভি