News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

সবজির বাজারে স্বস্তি, চড়ামূল্য গুণতে হচ্ছে চাল-মুরগি-মাছে  

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2025-01-10, 12:48pm

rwewer-948e17fa90ef9cc66cd6182528fa36db1736491712.jpg




শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে বেড়েছে সবজির সরবরাহ। নতুন টাটকা সবজিতে ভরে গেছে বাজার; ফলস্বরূপ কমেছে দামও। কয়েক মাস ধরে অস্বস্তি ছড়ানো আলুর দামও বেশ কমেছে। বাজারে এই মুহূর্তে শীতকালীন সব সবজির দামই ভোক্তা সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল আছে ডিমের দামও। তবে, অস্বস্তি বিরাজ করছে চাল, মুরগি ও মাছের বাজারে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর, কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন পরিস্থিতি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির সরবরাহ অনেক বেড়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও টমেটোর দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা করে। বাকি সবজিগুলোও বিক্রি হচ্ছে বেশ সহনীয় দামে।

প্রতি কেজি গোল ও লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা দরে। প্রতি কেজি মুলা ১৫-২০টাকা, পেঁপে ও শালগম ২০-৩০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাধাকপি ১০-২০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৩০-৫০ টাকা ও কলার হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৬০-৮০ টাকা, শিম ৩০-৫০ টাকা, শসা ও ক্ষিরা ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সে তুলনায় করলা, পটল, ঝিঙা ও ধুন্দলের দাম কিছুটা বেশি; প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। এছাড়া চিচিঙা ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৪০-৬০ টাকা ও টমেটো ৪০- ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সেইসঙ্গে লালশাক, পালং শাক, কলমি শাক ও কুমড়া শাকসহ বিভিন্ন শাকের আঁটি মিলছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।

স্বস্তি ফিরেছে আলুর দামেও। গত সপ্তাহে যে আলু ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। ঝাঁঝ কমেছে পেঁয়াজের বাজারেও। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ৫০-৫৫ টাকা এবং ইন্ডিয়ান নতুন পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে, রসুন এবং আদা এখনো কিনতে হচ্ছে চড়া দাম দিয়েই। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দেশি রসুন কেজি প্রতি ২৫০ টাকা ও ইন্ডিয়ান রসুন কেজি প্রতি ২২০ টাকা এবং চীনা আদা কেজি প্রতি ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এদিকে গত সপ্তাহের মতো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০-৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংস প্রতি কেজি ১১০০-১১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে, চরম অস্বস্তি বিরাজ করছে মুরগির বাজারে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এখন। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৪০ টাকা দরে।

এ ছাড়া মাছের বাজারেও নেই কোনও সুসংবাদ। আকারভেদে প্রতিকেজি পাবদা মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, ছোট রুই ২৫০-৩০০ টাকা, ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনের রুই ৪০০-৪৫০ টাকা, টেংরা ৬৫০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ টাকা ও পাঙাশ আকারভেদে ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে।

ভরা মৌসুমে ভেলকি দেখাচ্ছে চালের বাজারও। প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৮০-৯০ টাকা, মান ভেদে মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকা, বিআর- ২৮ চাল ৬০- ৬৫ টাকায়, মোটা চাল (গুটি স্বর্ণা) ৫৫- ৫৮ টাকা, পুরোনো আটাশ ৬৫ টাকা, পাইজাম ৬০ টাকা, কাটারিভোগ ৮৫ টাকা, বাসমতি ৯৪- ৯৮ টাকা, পোলাওর চাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও আমন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের দামের এই ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভোক্তারা। তাদের প্রশ্ন, ৭০ টাকার নিচে ভালো কোনো চাল নেই। ভরা মৌসুমে চালের এতো দাম হলে, সামনের রোজায় কী হবে? অভিযোগ করে অনেকে বলেন, বাজার মনিটরিং না থাকার কারণেই যাচ্ছেতাইভাবে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

আরটিভি