News update
  • Red bus with ‘Bangladesh first’ slogan ready at Dhaka airport for Tarique     |     
  • Flight carrying Tarique, family lands at Dhaka Airport     |     
  • Tarique’s Flight Lands in Sylhet; Crowds Build at 300 Feet     |     
  • Christmas in Bangladesh Thursday     |     
  • Bangladesh Bars Internet Shutdowns, Restores BTRC Autonomy     |     

উজবেকিস্তানে কমপক্ষে ২০জন শিশুর মৃত্যু: দুটি ভারতীয় কাশির সিরাপ সম্পর্কে ডব্লিউএইচও’র সতর্কবার্তা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ওষুধ 2023-01-14, 10:04am

images-6-22d60c4f0b0b0e1b62c33b3161c4cf6b1673669047.jpeg




বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ভারতের ম্যারিয়ন বায়োটেক কোম্পানির তৈরি পণ্যগুলো “নিম্নমানের” এবং প্রতিষ্ঠানটি তাদের “নিরাপত্তা ও গুণগত মান” সম্পর্কে নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

গত মাসে উজবেকিস্তানের কর্তৃপক্ষ ডক-ওয়ান ম্যাক্স ব্র্যান্ডের অধীন্স্ত কোম্পানির তৈরি একটি সিরাপ খেয়ে কমপক্ষে ২০ জন শিশু মারা গেছে জানানোর পরে বুধবার বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ঐ সতর্কবার্তাটি জারি করে।

এর পরপর ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বন্ধ করে দেয় এবং উজবেকিস্তান ভারত থেকে ডক-ওয়ান ম্যাক্সের আমদানি এবং বিক্রি নিষিদ্ধ করে দেয়।

ডব্লিউএইচও'র সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে যে উজবেকিস্তানের (ঔষধের) মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগারগুলোতে সিরাপের নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যে “দূষিত পদার্থ হিসেবে ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং/অথবা ইথিলিন গ্লাইকোলের পরিমাণ” অগ্রহণযোগ্য মাত্রায় পাওয়া গেছে।

ডিয়েথিলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন সেবন মানুষের জন্য বিষাক্ত এবং তা যে প্রাণহানিকর তার প্রমাণ রাখতে পারে।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে যে “ঐ অঞ্চলের অন্যান্য দেশে ঐ দুটি পণ্যই বিক্রির অনুমোদন থাকতে পারে। ঐগুলি অন্যান্য দেশ বা অঞ্চলের নিয়মিত বাজারে নয় বরং ছোটখাট বাজারগুলোতে বিতরণ করা হয়ে থাকতে পারে।”

তারা জানিয়েছে পণ্যগুলি " ব্যবহারের জন্য নিরাপদ ছিল না এবং ঐসব ব্যবহার করার ফলে বিশেষ করে শিশুদের গুরুতর ক্ষতি বা তাদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।”

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ম্যারিয়ন বায়োটেকের কর্মকর্তাদের সাথে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।

অক্টোবর মাসের পর থেকে এটা দ্বিতীয় ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা যারা নিয়ন্ত্রকদের তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে। ডব্লিউএইচও গাম্বিয়ায় শিশু মৃত্যুর সাথে আরেকটি ভারতীয় সংস্থার ওষুধকে দায়ী করেছে।

মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি বিষাক্ত কাশি এবং ঠান্ডা প্রতিষেধক তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছিল। ঐ কোম্পানির ওষুধ সেবনে আফ্রিকার দেশগুলোতে কমপক্ষে ৬৬ জন শিশু মারা গিয়েছিল।

বেশিরভাগই ৫ মাস থেকে ৪ বছর বয়সের শিশুরা এর শিকার হয় এবং এদের কিডনির কর্মক্ষমতা মারত্মকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয়।

ভারত মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত শুরু করেছিল কিন্তু পরে তারা বলেছিল যে তদন্তে দেখা গেছে যে সন্দেহজনক ওষুধগুলি "মানসম্মতই " ছিল। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা।