রুশ সামরিক বাহিনী, পূর্ব ইউক্রেনে আরও অগ্রগতি অর্জন করে চলেছে। তারা, বন্দর ও রেললাইনসহ অন্যান্য মুল অবকাঠামোগুলোকে লক্ষ্য হিসেবে ধরে নিয়েছে। তারা, এখন সেখানকার একটি কৌশলগত রেলওয়ে স্থাপনা দখল করে নিয়েছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা, লিমান শহরটি রুশ নিয়ন্ত্রণে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, এটি হচ্ছে চলতি সপ্তাহে রুশ দখলে যাওয়া দনবাস অঞ্চলের দ্বিতীয় মাঝারি আকারের শহর।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানায় যে, তারা তৃতীয় একটি শহর রক্ষায় “মারাত্মক প্রতিরক্ষা” কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তারা তাদের ভাষায়, সেভেরোদোনেতস্কের বাইরে অবস্থানরত রুশ সেনাদের উপর হামলার দৃশ্যসম্বলিত একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ করেছে । উল্লেখ্য, এটি হচ্ছে ঐ অঞ্চলে ইউক্রেনের সর্বশেষ শক্তিশালী ঘাঁটি।
শহরটির গভর্নর জানান যে, রুশ বাহিনী শহরের দুই তৃতীয়াংশ এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং ৯০ শতাংশ দালানকোঠা ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি, গোলা নিক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। কর্তৃপক্ষগুলোর ধারণা অনুযায়ী, প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন।
ভূগর্ভস্থ একটি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত একজন নারীর ভাষ্যমতে, সেখানে বিপুল সংখ্যক জ্বরাক্রান্ত লোকজন থাকলেও পর্যাপ্ত ওষুধ নেই।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানান যে, এই যুদ্ধে আরও অধিক সংখ্যক লোকজন বিপদের মুখে পতিত হয়ে চলেছেন। কর্মকর্তারা, তাদের মধ্যে অন্তত ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে এও বলেন যে তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির যেলেনস্কি, এই বেপরোয়া হত্যাকাণ্ড বন্ধের উপায় খুঁজছেন। তিনি, আবারও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিয়েছেন।
যেলেনস্কি, রুশ নেতার সঙ্গে সরাসরি আলোচনার কিছু বিষয় রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এবিষয়ে খুব বেশি আগ্রহ না থাকলেও তাঁদের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে শান্তি আলোচনা বন্ধ রয়েছে। পুতিন, এর জন্য ইউক্রেনীয় নেতাদের দোষারোপ করেছেন। তথ্য সূত্র এনএইচকে ওয়াল্ড বাংলা।