News update
  • Dhaka’s air quality ‘moderate’ Thursday morning     |     
  • Injured nilgai rescued in Panchagarh     |     
  • Nobody wins trade wars, Guterres warns     |     
  • China positions itself as 'free trade champion' as tariffs hit     |     
  • US imposes New Sanctions Targeting Iran’s Nuclear Program     |     

রাজধানীর উত্তরে জামায়াত দক্ষিণে ছাত্রদল

গ্রীণওয়াচ ডেক্স রাজনীতি 2023-11-12, 12:58pm

resize-350x230x0x0-image-247567-1699771742-53dbbf8411cde6963bbbd796ad4b42c71699772318.jpg




রাজধানীর উত্তরে জামায়াতে ইসলামী এবং দক্ষিণে ছাত্রদল পিকেটিং করেছে। বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা চতুর্থ দফা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের প্রথম দিনে এ কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের।

রোববার (১২ই নভেম্বর) অবরোধের প্রথম প্রহরে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে সোয়ারীঘাটে ছাত্রদল নৌপথ অবরোধ ও পিকেটিং করে। এতে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদ আউয়াল।

নৌপথ অবরোধ ও পিকেটিংয়ের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ডা. আউয়াল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার অধীনে জনগণ আর ৫৭ সেকেন্ডে ৪৩ ভোট মডেলের নির্বাচন দেখতে চায় না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ের লক্ষ্যেই আমাদের এই অবরোধ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মহিউদ্দিন মাহি, রংপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ডা. রুদ্র, রংপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ডা. নাজেম, মহানগর ছাত্রদল মিরাজ হোসেন, সিয়াম, আশরাফুল আসাদ, বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক কাজী কাওসার, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহদপ্তর সম্পাদক দেওয়ান নিয়ন, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মো. ছানাউল্লাহ্, বরগুনা জেলা ছাত্রদল সম্পাদক হৃদয়সহ বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রদল নেতারা।

অপর দিকে ঢাকা উত্তরের ১২ স্পটে জামায়াত কর্মসূচি পালন করেছে বলে দাবি করেছে। দলটির দাবি প্রথম দিনে ১২টি স্পটে মিছিল ও পিকেটিং করেছে সংগঠনটির ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখা।

রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে দলটির ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার ও দক্ষিণের প্রচার সহকারী মুহাম্মাদ সাইফের স্বাক্ষরিত আলাদা বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ কারাবন্দি সকল জাতীয় নেতার মুক্তির দাবিতে আজ রোববার সকাল ৬টা থেকে অবরোধ পালন করছে দলটি।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মুহাম্মদ জামাল উদ্দীনের নেতৃত্বে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় মিছিল করেছে উত্তরের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়াও উত্তরা, পল্লবী, হাতিরঝিল, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর এলাকায় মিছিল ও পিকেটিং করে বলে জানা যায়।

অপরদিকে, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে রাজধানীর সেগুনবাগিচা মিছিল করেছে দলের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়াও নাজিম উদ্দিন রোডের চানখারপুল, বাংলামোটর, ডেমরা মহাসড়ক, যাত্রাবাড়ী, মুগদা কমলাপুর বিশ্বরোড এলাকায় মিছিল ও পিকেটিং করে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ষড়যন্ত্রের তফশিল ঘোষণা জনগণ বানচাল করে দেবে। বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের জেলখানায় রেখে প্রহসনের নির্বাচনের জন্য তফশিল ঘোষণার সুযোগ দেওয়া হবে না। এ সরকারের এখনো বোধোদয় হয়নি। তাই তারা ষড়যন্ত্রের তফশিল ঘোষণা করতে চাচ্ছে। জনগণ তাদের এ ষড়যন্ত্র বানচাল করে সমুচিত জবাব দেবে।

তিনি বলেন, ভোট চোরদের বিরুদ্ধে আমাদের অবরোধ চলছে, চলবে। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তিনি অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান।

এদিকে মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন বলেছেন, সেবাদাস ও বশংবদ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে মাফিয়া সরকার দেশে আবারও একতরফা নির্বাচন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার দিবাস্বপ্ন দেখছে। কিন্তু বীর জনতা সে ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জনতার এই অবরোধ অব্যাহত থাকবে।

তিনি সরকারকে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে তামাশা ও ভাঁওতাবাজির নির্বাচনের ষড়যন্ত্র বন্ধ করার আহ্বান জানান। অন্যথায় একতরফা তফশিল ঘোষণার ষড়যন্ত্র জনগণ জীবন দিয়ে হলেও রুখে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

এদিকে, রোববার সকাল ৬টা থেকে বিএনপি-জামায়াত ও বিরোধী জোটের চতুর্থ দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগের দিন রাতে রাজধানীতে নয় বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত ৮টা ২০ মিনিটে আরামবাগ নটরডেম কলেজের পুলিশ বক্সের পাশে, সাড়ে ৮টার দিকে গাবতলীর বাস স্ট্যান্ডের সামনে, রাত ৯টার দিকে গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের সামনে, রাত সাড়ে ৯টায় যাত্রাবাড়ী ফল-পট্টির সামনে, রাত সাড়ে দশটার দিকে শেরেবাংলা নগর থানার পঙ্গু হাসপাতালের সামনে বৈশাখী পরিবহনের বাসে, রাত পৌনে ১১টার দিকে কাফরুল থানার আগারগাঁও তালতলা এলাকায় শিকড় পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে ও রাত ১১টা ৩৮ মিনিটে রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বরে কাফরুল থানার বিপরীতে যাত্রীবাহী প্রজাপতি পরিবহনের একটি বাসে ও রাত ১২টায় রূপনগর থানার সামনে দুটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলছিল। সমাবেশ চলাকালে এক পর্যায়ে দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর ফলে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পরে রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে দলটি। হরতাল শেষে একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়; যা শেষ হয় গত ২ নভেম্বর। এরপর বিরতি দিয়ে দিয়ে তিন দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।